যদি একটি ছবি হাজার কথা বলে, তাহলে এই ছবি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত মঙ্গলবার আদালতকক্ষে প্রবেশের গল্প বলে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার নিউইয়র্কের একটি আদালতে হাজির হন। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৪টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় ক্ষতি হতে পারে, এমন তথ্য লুকাতে তিনি পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়া নিয়ে নকল নথি তৈরি করেন। স্টরমি ড্যানিয়েলস দাবি করেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক ছিল। ট্রাম্প অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আদালতকক্ষে বিচারকের সামনের টেবিলে বসেছিলেন ট্রাম্প। এ সময় ট্রাম্পের দুই দিকে চারজন আইনজীবী ছিলেন। ট্রাম্পের সঙ্গে একই টেবিলে (সর্ব বাঁয়ে) ছিলেন প্রথিতযশা আইনজীবী টড ব্লানচে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ট্রাম্পের আইনজীবী দলের নেতৃত্বে দেন আইনজীবী টড ব্লানচে।
আরও ছিলেন সুজান নিকলস (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ট্রাম্পের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কাছে তিনি ‘আগন্তুক’ নন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে কাজ করা আইনজীবী দলে ছিলেন সুজান। গত বছর ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা অ্যালেন ওয়েইজেলবার্গের কর ফাঁকির মামলায়ও লড়েন এই আইনজীবী।
ওয়েইজেলবার্গ অবশ্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত মাফিয়া পরিবার জিনোভিসের দ্বিতীয় প্রধান ভিনেরো মানগানোর হয়েও তিনি আদালতে লড়েছিলেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে একই টেবিলে ছিলেন (ডান থেকে দ্বিতীয়) জো টাকোপিনা। ট্রাম্পকে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত ও তাঁর আদালতে আত্মসমর্পণ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে আলোচনায় আসেন তিনি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে প্রায়ই তাঁকে কথা বলতে দেখা গেছে। সাবেক বেস বল তারকা অ্যালেক্স রদ্রিগেজ, র্যাপার মিক মিল ও ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের বাগ্দত্তা কিমবার্লি গিলফয়েলের পক্ষেও তিনি আদালতে লড়েছিলেন।
একেবারে ডানে বসা ছিলেন বরিস এপস্টেইন। অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে দোষীকে মুক্ত করার খ্যাতি আছে তাঁর। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ যেসব সহযোগী আছেন, তার মধ্যে একজন এপস্টেইন। পলিটিকোর তথ্য অনুযায়ী, সাবেক রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও ব্যাংকার এপস্টেইনের সঙ্গে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হয়। এপস্টেইন ২০১৬ ও ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন।