সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

‘যেকোনো সময়ে, যেকোনো জায়গায়’ বাইডেনকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের

‘যেকোনো সময়ে, যেকোনো জায়গায় আমি টিভিতে বিতর্কের আহ্বান জানাচ্ছি’—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এভাবেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকার জন্য যেসব বিষয় অপরিহার্য, সেগুলো নিয়ে জো বাইডেন ও আমি বিতর্ক করব। দেশের ভালোর জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।’ সুপার টুয়েসডেতে প্রার্থিতা নিশ্চিত হওয়ার পর ট্রাম্প বাইডেনকে বিতর্কের এ আহ্বান জানালেন।

আজ  বৃহস্পতিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে নির্বাচনী বিতর্কের এ চ্যালেঞ্জ জানান ট্রাম্প। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টি থেকে জো বাইডেন ও রিপাবলিকান পার্টি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে প্রার্থী হচ্ছেন, তা বলতে গেলে প্রায় নিশ্চিত।

আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে নিজ দল থেকে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েননি বাইডেন। রিপাবলিকান পার্টি থেকেও প্রার্থিতার লড়াইয়ে বহু এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার ‘সুপার টুয়েসডে’-তে সর্বশেষ ১৫টি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির প্রাইমারিতে প্রার্থিতা নির্বাচনের ভোটাভুটি হয়। এর ১৪টিতেই জয় পান ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প। শুধু ভারমন্টে অঙ্গরাজ্যে এগিয়ে ছিলেন তাঁর সবশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে তেমন বাধা না থাকলেও বাইডেনকে ঘিরে এরই মধ্যে নানা বিতর্ক উঠেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট। ৮১ বছর বয়সী বাইডেন ভবিষ্যতেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মানসিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য উপযুক্ত থাকবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডেমোক্র্যাট দলের সদস্যরাই।

ট্রাম্পের বিতর্কের চ্যালেঞ্জের জবাবে এখনো কিছু বলেননি বাইডেন। এর আগে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে দুবার বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিলেন দুজন। এর মধ্যে প্রথম বিতর্কটি ট্রাম্পের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছিল। আর তৃতীয় বিতর্কটি বাতিল করা হয়েছিল। কারণ, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ওই বিতর্ক ভার্চ্যুয়ালি আয়োজন করা হয়েছিল। আর ভার্চ্যুয়াল বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হননি ট্রাম্প।

এদিকে আজ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে স্টেট অব ইউনিয়ন বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে বাইডেনের। সেখানে তিনি তাঁর কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরবেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় নিজের কর্মকাণ্ডগুলো জানাবেন। এ ছাড়া আগামী চার বছর নতুন করে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়েও আহ্বান জানাবেন। এ নিয়ে ট্রাম্প ইতিমধ্যেই বলেছেন, বাইডেনের স্টেট অব ইউনিয়ন বক্তৃতার পরই দ্রুত নিজের প্রতিক্রিয়া জানাবেন তিনি। কারণ, সত্যি জানাটা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রাম্প যতই মার্কিন জনগণকে সত্যি জানানোর কথা তোলেন না কেন, জনসমক্ষে দেওয়া প্রায় সব বক্তৃতায়ই মিথ্যা বলার ইতিহাস রয়েছে তাঁর। সেদিক দিয়ে বাইডেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কালেভদ্রে উঠেছে। ওয়াশিংটন পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনেই যেমন বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট থাকাকালে মানুষের সামনে ৩০ হাজারের বেশিবার মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প, যার গড় হিসাব করলে দেখা যায়, দিনে ২১ বার মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।