যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফের মাঠের কাছে পুলিশের অবস্থান
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফের মাঠের কাছে পুলিশের অবস্থান

ট্রাম্পের গলফ মাঠের কাছে গুলি: একে–৪৭ ঘরানার বন্দুকসহ আটক ১

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচ এলাকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন গলফ মাঠের কাছে গুলির ঘটনার পর অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। রোববারের এ ঘটনার সময় ওই মাঠেই ছিলেন ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, গলফ মাঠে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। একে–৪৭ ঘরানার ওই অস্ত্রও জব্দ করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প। গুলির ঘটনার পর তাঁর প্রচার শিবির থেকে জানানো হয়েছিল, ট্রাম্প যেখানে অবস্থান করছিলেন, তাঁর কাছাকাছি গুলি চালানো হয়েছে। তিনি নিরাপদে আছেন। আপাতত এর বেশি কিছু জানানো যাচ্ছে না।

কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গোলাগুলির ঘটনার সময় ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে নিজের গলফের মাঠে খেলছিলেন ট্রাম্প। মাঠটি মার–এ–লাগো এলাকায় তাঁর বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে নয়। এ সময় ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিক্রেট সার্ভিস বাহিনীর সদস্যরা।

সিক্রেট সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তা বেরি ডোনাডিও সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ট্রাম্পের গলফের মাঠে গুলির ঘটনায় একে–৪৭ রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বন্দুকের গুলি বেশ শক্তিশালী। বন্দুকটি দিয়ে ৮০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানা যায়।

এদিকে গুলির ঘটনার তদন্ত সম্পর্কে জানাশোনা আছে—এমন কয়েকটি সূত্র সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে জানিয়েছে, আটক ব্যক্তি ট্রাম্পের গলফের মাঠের দিকে বন্দুক তাক করে ছিলেন। এমন সময় তাঁর দিকে গুলি চালান সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। তখন ওই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর তাঁকে আটক করা হয়।

গুলির ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া ওই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) নিরাপদে আছেন জেনে আমি খুশি। আমেরিকায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’