যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো খুচরা ওষুধ বিক্রির দোকানে গর্ভপাতের বড়ি বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। এর ফলে দেশটিতে গর্ভপাতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্য এ ওষুধ বিক্রি বন্ধের উপায় খুঁজছে।
তবে এ ওষুধ কেনার জন্য এখনো চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র লাগবে। ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে রোগীরা সরাসরি দোকান থেকে বা ই-মেইল করে এ বড়ি সংগ্রহ করতে পারবেন।
এফডিএ তাদের ওয়েবসাইটে গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, মিফেপ্রিস্টোন আইএমএস প্রোগ্রামের অধীন মিফেপ্রেক্স এবং এর অনুমোদিত জেনেরিক নির্দিষ্ট ফার্মেসি বা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বিতরণ করা যেতে পারে।
গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের গর্ভপাত অধিকার আইন বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্ট। এতে গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়া ১৯৭৩ সালের আইনি সিদ্ধান্ত ‘রো বনাম ওয়েড’ অকার্যকর হয়ে পড়ে। আদালতের এ সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নারীদের কাছে গর্ভপাতের ওষুধ সহজলভ্য রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আদেশ দিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের ওষুধ তৈরি করে ড্যাঙ্কো ল্যাবরেটরিজ ও জেনবায়োপ্রো। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আসা সম্পূরক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করার পর এফডিএ বিষয়টি চূড়ান্ত করে। ওষুধ প্রস্তুতকারী এ দুটি প্রতিষ্ঠানও পৃথকভাবে বিবৃতিতে এফডিএর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
যে দুটি প্রতিষ্ঠান এ বড়ি তৈরি করে, তাদের কাছে ফার্মেসিগুলো গর্ভপাতের বড়ি মিফেপ্রিস্টোন বিক্রির জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন শুরু করতে পারে এবং তারা সফল হলে চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র দেখে রোগীর কাছে এই বড়ি বিক্রি করতে পারবে। ড্রাগ চেইন সিভিএস এবং ওয়ালগ্রিন বলেছে, এ বড়ি বিক্রির জন্য নতুন কী করতে হবে, তা তারা পর্যালোচনা করে দেখছে।
গর্ভপাতের অধিকারকে সমর্থনকারী গবেষণা সংস্থা গাটমাচের ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অর্ধেকের বেশি গর্ভপাত বড়ি খেয়ে করা হয়। আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টরা এ পদক্ষেপকে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই এ বড়ি খেয়ে গর্ভপাত ঘটাতে পারেন নারীরা।