যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় হারিকেন মিল্টনের আঘাতে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্লোরিডার আইন প্রয়োগকারী বিভাগ সিবিএস নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী কয়েক দিনে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেহানদ্রো মায়োরকাস সাংবাদিকদের বলেন, বন্যার পানি নয় বরং মিল্টনের প্রভাবে মানুষ মারা গেছে।
গত বুধবার রাতে ফ্লোরিডার ভূভাগে আঘাত হানে হারিকেন মিল্টন। এতে গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন পড়ে অনেক সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র বাতাসে টাম্পা শহরের একটি বেসবল স্টেডিয়ামের ছাদ উড়ে যায়। প্রায় ৩০ লাখ বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। তবে হারিকেন মিল্টন যতটা বিধ্বংসী হওয়ার আশঙ্কা ছিল, ততটা হয়নি।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যানটিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হারিকেনটি বড় আকারের ছিল। তবে সৌভাগ্যবশত আশঙ্কার চেয়ে কম ক্ষয়ক্ষতি করেছে।’
হারিকেন হেলেনের ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি ফ্লোরিডা উপসাগরীয় উপকূলের বাসিন্দারা। দুই সপ্তাহ আগে হেলেনের তাণ্ডবে ফ্লোরিডায় ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যেই নতুন করে আঘাত হানল ৩ মাত্রার বিপজ্জনক হারিকেন মিল্টন। পরে এটি ২ মাত্রায় পরিণত হয়।
ফ্লোরিডা জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক কেভিন গুথরি বলেছেন, হারিকেনটি স্থলভাগে আঘাত হানার আগেই প্রায় ১২৫টি বাড়ি লন্ডভন্ড করে দেয়। এর মধ্যে অনেকগুলো বাড়ি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বানানো।