আমরা অনেক সময় বইয়ের ভাঁজে টাকা, চিঠি বা চিরকুট রেখে দিই। এরপর একটা সময় ভুলে যাই। অনেক দিন পর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে বইখাতার ভেতরে যখন সেই টাকা পাই, তখন আনন্দের শেষ থাকে না। মনে হয় বাড়তি পাওনা। আর যদি পাওয়া যায় চিঠি, তা ফিরিয়ে নিয়ে যাবে অতীতের সুন্দর স্মৃতিতে। কিন্তু ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে যদি পেয়ে যান অবহেলা–অনাদরে ফেলা রাখা কোনো লটারির টিকিট, আর সেই টিকিট থেকে লাখ লাখ ডলার, তাহলে! এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে।
সিবিসি নিউজের তথ্যমতে, কয়েক মাস আগে খলিল সোওসা নামের মেডফোর্ডের এক বাসিন্দা একটি লটারি কেনেন। ওই লটারির মোট পুরস্কার মূল্য ছিল ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। তিনি ম্যাসাচুসেটস লটারিকে বলেন, অরেগন অঙ্গরাজ্যের মেডফোর্ড শহরে তাঁর বাড়ির পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে ফুলদানিতে এই টিকিট পেয়ে তাঁকে দেন।
লটারির পুরস্কার ঘোষণার পর দেখা যায়, তিনি ১০ লাখ ডলার জিতেছেন। করের অর্থ কাটার আগে এককালীন পুরো অর্থ নিয়ে নেওয়ায় পেয়েছেন সাড়ে ৬ লাখ মার্কিন ডলার। তিনি লটারি কর্তৃপক্ষকে জানান, তাঁর ইচ্ছা এই অর্থের একটি অংশ আর্থিক সংকটে থাকা এক বন্ধুকে দেবেন। আর কিছু অর্থ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করবেন।
টিকিটটি মেডফোর্ডের সালেম স্ট্রিটের টনিস কনভিনিয়েন্স স্টোর থেকে কিনেছিলেন খলিল। এখন এই স্টোরের মালিকও ১০ হাজার মার্কিন ডলার বোনাস পেয়েছেন। কারণ, তিনি ‘বিজয়ী’ টিকিট বিক্রি করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে লটারিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ জেতার খবর প্রায় দেখা যায়। কিছুদিন আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় এক ব্যক্তি ১৭৩ কোটি ডলারের (বাংলাদেশি ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি) লটারি জিতেছিলেন।
সিএনএনের তথ্যমতে, এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের লটারি ও পাওয়ারবল লটারি গেমের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রে জুয়া বা লটারি জিতলে বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে আয়কর দিতে হয়। কিছু অঙ্গরাজ্যে আবার অঙ্গরাজ্যভিত্তিক আয়কর দিতে হয়। যেমন অ্যারিজোনায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ, আবার নিউইয়র্কে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ পর্যন্ত।