যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে মন্টানায় টিকটক নিষিদ্ধ

টিকটক
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে মন্টানায় নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। ফলে সেখানকার বাসিন্দারা ব্যক্তিগত ডিভাইসে টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মন্টানার গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট টিকটক নিষিদ্ধ করার আইনে সই করেছেন। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

এ আইনে বলা হয়েছে, মন্টানার সীমানায় অবস্থান করে কেউ টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না। আইন অমান্য করলে প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হবে। এমনকি অ্যাপল ও গুগলের মতো প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে তাদেরও জরিমানা দিতে হবে।

অঙ্গরাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপের পর টিকটক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে মন্টানার লাখ লাখ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা মন্টানার ভেতরে ও বাইরে আমাদের ব্যবহারকারীদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’ এখন টিকটক নতুন এ আইনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত মাসে মন্টানার আইনপ্রণেতারা ব্যক্তিগত ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি বিল উত্থাপন করেন। পরে ৫৪-৪৩ ভোটে আইনটি পাস হয়।

টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান চীনের বাইটড্যান্স। প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মার্কিন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে তা চীনের হাতে তুলে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ জন্য মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটির সামনে জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে টিকটক সিইও শাও জি চিউকে।

যদিও টিকটিক কর্তৃপক্ষ বরাবর গুরুতর এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের ব্যবহৃত সব ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি হোয়াইট হাউস দেশটির বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় ব্যবহার করা মুঠোফোনসহ অন্যান্য ডিভাইস থেকে টিকটক সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।