যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সোমবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধানের অধীনে ট্রাম্প যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলোয় দায়মুক্তি পাবেন। তবে এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে নেওয়া পদক্ষেপের জন্য দায়মুক্তি পাবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের নয় সদস্যের বেঞ্চের ছয়জনই ট্রাম্পের দায়মুক্তির পক্ষে ছিলেন। বিপক্ষে ছিলেন তিনজন। আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টকে অপরাধের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০ সালের নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগ থেকে সুরক্ষা পেতে ট্রাম্পের আবেদন খারিজ করেছিলেন নিম্ন আদালত। সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে নিম্ন আদালতের ওই আদেশ বাতিল হয়ে গেল।
এখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং পরের বছরের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় মামলাগুলো পরিচালনা করা সরকারি কৌঁসুলিদের জন্য অনেক বেশি কঠিন হবে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস একটি নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে সরকারি কৌঁসুলিরা যেভাবে মামলা সাজিয়েছিলেন, তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের প্রধান অভিযোগগুলোর একটি হলো, ২০২০ সালের নির্বাচনের পর জো বাইডেনের জয়কে স্বীকৃতি না দিতে তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেন ট্রাম্প। এটি যে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে করা হয়নি, তা প্রমাণে এখন অনেক কষ্ট করতে হবে স্মিথকে। বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্পের যোগাযোগের বিষয়টির ক্ষেত্রেও তা হবে। ৬ জানুয়ারির বিষয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য ক্যাপিটলে হামলায় উসকানি দিয়েছিল বলে যে অভিযোগ আনা হয়, সেটিও টিকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে এটা স্পষ্ট যে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও ক্যাপিটলে হামলাসংক্রান্ত মামলার তেমন অগ্রগতি হবে না।