প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা করা গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অনুমোদনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খসড়ায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ওই পরিকল্পনা মেনে নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, অসংখ্য নেতা ও সরকার, যাদের মধ্যে ওই অঞ্চলের (মধ্যপ্রাচ্য) রাষ্ট্রগুলোও রয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছে।
খসড়া প্রস্তাবের একটি অনুলিপি এএফপির হাতে এসেছে। তাতে গত ৩১ মে ঘোষণা করা নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে হামাসকে এটি পুরোপুরি মেনে নেওয়ার ও দেরি না করে কোনো শর্ত ছাড়াই তা কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত শুক্রবার বাইডেন প্রশাসন নতুন ওই যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা ঘোষণা করে। বাইডেন এ পরিকল্পনার রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন। তিন স্তরের এ পরিকল্পনায় গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিসমাপ্তি, সেখানে পুরোদমে ত্রাণ সরবরাহ শুরু, হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের মুক্তি, এ উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও হামাসমুক্ত ফিলিস্তিন ভূখণ্ড পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইসরায়েল এ পরিকল্পনা ‘মেনে নিয়েছে’। যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, গাজায় ‘নিজেদের লক্ষ্য (হামাসকে নির্মূল) অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত’ যুদ্ধ চলবে।
গতকাল সোমবার ভোরে হোয়াইট হাউস বলেছে, বাইডেন কাতারের আমিরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে ‘হামাসকে গাজায় একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি চুক্তির পথে একমাত্র বাধা বলে মনে হচ্ছে’। এ-সংক্রান্ত পরিকল্পনা মেনে নিতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আমিরের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাইডেনের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বিষয়ে হামাস গত সপ্তাহে বলেছে, তারা এটি ‘ইতিবাচকভাবে’ দেখছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে গাজার এই শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য আসেনি। এমনকি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রও এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবের ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটির কোনো সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি।