জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্পের ওপর হামলার পর বিভক্ত দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান বাইডেনের

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার পর ‘বিভক্ত’ দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল রোববার ওভাল অফিস থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাইডেন কথাগুলো বলেন।

বাইডেনকে সচরাচর ওভাল অফিস থেকে ভাষণ দিতে দেখা যায় না। তাই সংবাদমাধ্যমগুলো বাইডেনের গতকালের ভাষণকে ‘বিরল ঘটনা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির সহিংস উত্তাপ কমানোর সময় এসেছে।’

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের এই দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এটা শীতল করে আনা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকে আক্ষরিক অর্থে যুদ্ধক্ষেত্র, বিশেষত হত্যার ক্ষেত্র হতে দেওয়া হবে না।’

৮১ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, একটি গভীর বিভাজনের নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আনা দুই পক্ষেরই (ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান) দায়িত্ব ছিল। এ পরিস্থিতি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে পরীক্ষার মুখে ফেলেছে।

স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে হামলা হয়। সমাবেশস্থলের কাছে একটি একতলা ভবনের ছাদ থেকে মঞ্চ লক্ষ্য করে পরপর কয়েকটি গুলি করেন হামলাকারী। এ ঘটনায় ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে যায়।

এ হামলার ঘটনায় দর্শকসারিতে থাকা কোরি কম্পারেটর নামের ৫০ বছর বয়সের এক ব্যক্তি নিহত হন। আরও দুজন গুরুতর আহত হন।

ট্রাম্পের সমাবেশে হামলা করেছিলেন টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস নামের ২০ বছরের এক যুবক। রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন তিনি। ক্রুকস পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্ক এলাকার বাসিন্দা।

তদন্তকারীরা বলছেন, ক্রুকস কেন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের সমাবেশে গিয়ে হামলা করলেন, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হামলার পরপরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন ক্রুকস।