ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ফাইল জব্দ করার ঘটনায় একটি মামলা করেছেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই ফাইলগুলো নিয়ে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের (আইন ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়) তদন্ত বন্ধের আদেশ দিতে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচের একটি আদালতে মামলাটি করা হয়। খবর বিবিসির।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মামলার আবেদনটি করা হয়েছে এমন একজন বিচারকের আদালতে, যাঁকে ২০২০ সালে ট্রাম্প মনোনয়ন দিয়েছিলেন। মামলায় ট্রাম্পের আইনি দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) সদস্যরা যে নথিগুলো জব্দ করেছেন, সেগুলো যাচাই–বাছাইয়ের জন্য যেন স্বতন্ত্র একজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট যেন তা যাচাই–বাছাই না করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টদেরকে আবশ্যিকভাবে তাঁদের সব নথি ও ই–মেইল ন্যাশনাল আর্কাইভ নামের একটি সরকারি সংস্থায় জমা দিতে হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে মার এ লাগো বাসভবনে সরিয়ে নেওয়া নথিগুলো ট্রাম্প নিয়মবহির্ভূতভাবে রেখেছিলেন কি না, তা জানতে তদন্ত করছে এফবিআই।
এফবিআইয়ের তথ্যমতে, ৮ আগস্ট ট্রাম্পের বাড়িতে ১১টি গোপনীয় নথি পেয়েছে তারা। ওই গোপন নথিগুলো ঠিকমতো সামলে না রাখায় ট্রাম্পকে তদন্তের মুখোমুখি করা হচ্ছে। তবে ট্রাম্প কোনো ধরনের অপকর্ম করার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ওই নথিগুলো গোপনীয় নয়।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবীরা গতকাল আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যেন ট্রাম্পের নথিগুলো যাচাই–বাছাইয়ের জন্য একজন নিরপেক্ষ অ্যাটর্নি নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি যাচাই করে দেখবেন যে এসব নথিপত্র নির্বাহী সুবিধার আওতায় ছিল কিনা। এই নিরপেক্ষ অ্যাটর্নিকে বলা হয় স্পেশাল মাস্টার।
আবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট তাঁর দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের সময় যেসব আলোচনা করেছেন, সেগুলো নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা করে যাচাই–বাছাইয়ের মাধ্যমে শুধু একজন স্পেশাল মাস্টার জনস্বার্থ রক্ষা করতে পারেন।
ফ্লোরিডার আদালতে জমা দেওয়া ২৭ পৃষ্ঠার নথিতে ট্রাম্পের আইনি দল অভিযোগ করেছে, ট্রাম্প যেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী না হতে পারেন সে চেষ্টায় এ তল্লাশি চালানো হয়েছে।
জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মামলা সম্পর্কে কৌঁসুলিরা অবগত রয়েছেন। আদালতে এ বিষয়ে জবাব দেওয়া হবে।