জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা ছাড়া গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালানো ঠিক হবে না বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
গাজা উপত্যকার অন্য এলাকাগুলোয় অনবরত ইসরায়েলি হামলা চলার কারণে মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরটি ফিলিস্তিনিদের জন্য শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। তবে শহরটিতেও নেতানিয়াহু অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অনেক দেশের সরকার উদ্বেগ জানিয়েছে। রাফা শহরে এখন ১৪ লাখের মতো মানুষ বসবাস করছে। অনেকে তাঁবুতে থাকে। সেখানে খাবার, পানি ও ওষুধের ঘাটতি আছে।
এর মধ্যে গতকাল সকালে নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বাইডেন। এ ফোনালাপ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাফা শহরে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি মানুষের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা নিশ্চিতের জন্য বিশ্বাসযোগ্য ও কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা ছাড়া শহরটিতে অভিযান চালানো নিশ্চিত হবে না বলে আবারও জানিয়েছেন বাইডেন।
জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন রাফায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করাকে সমর্থন নাও করতে পারে। কারণ, শহরটির জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। বেসামরিক মানুষদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় নেতানিয়াহুর দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার সংক্ষিপ্ত আকারে প্রচারিত হয়।
এতে নেতানিয়াহু বলেন, বেসামরিক মানুষদের সরে যাওয়ার জন্য নিরাপদ পথ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অভিযান চলবে।
এসব মানুষ কোথায় সরে যাবে—এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আপনারা জানেন, রাফার উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলো আমরা ফাঁকা করেছি, সেখানে অনেক এলাকা আছে। তবে আমরা বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করছি।’
নেতানিয়াহু মনে করেন, রাফায় না ঢোকা এবং হামাসের ঘাঁটিতে হামলা না করাটা যুদ্ধে হেরে যাওয়ার শামিল।
এদিকে গতকাল রোববার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, রাফায় সামরিক অভিযান চালানো হলে তা ভবিষ্যতে জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়াকে হুমকিতে ফেলবে।