যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগে সমবেত জনতার উদ্দেশে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘ঘৃণা ও বিভেদের কারণে মানুষ তাঁর প্রতি বিরক্ত।’
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল সোমবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন কমলা হ্যারিস। মিশিগানের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক সমাবেশে এ কথা বলেন কমলা।
গতকাল কমলা হ্যারিস মিশিগানে প্রযুক্তি কোম্পানি কর্নিং ইনকরপোরেটেডের মালিকানাধীন হেমলক সেমিকন্ডাক্টর কারখানা পরিদর্শন করেন। সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগের ব্যাপারেও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্টের আওতায় সম্প্রতি কোম্পানিটি প্রাথমিক বিনিয়োগ হিসেবে ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ পেয়েছে। কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরের এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছিলেন। অথচ কমলাই ওই বরাদ্দ অনুমোদন করানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মিশিগানের আন আরবারে এক সমাবেশে যোগ দেন কমলা। এ সময় তাঁর রানিং মেট ও মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ ছিলেন। ওই সমাবেশে সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ম্যাগি রজারসেরও একটি পরিবেশনা ছিল।
সমাবেশে রজারস বলেন, ‘এ নির্বাচনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।’
এদিকে গতকাল রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। এদিন তিনি জর্জিয়ায় সমাবেশ করেছেন।
কয়েক লাখ মার্কিন নাগরিক ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোট দিয়েছেন। রয়টার্স/ইপসোসের করা সর্বশেষ জরিপসহ বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশন ল্যাবের হিসাব অনুসারে, প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন নাগরিক ইতিমধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে জর্জিয়ায় ভোট দিয়েছেন প্রায় ২৮ লাখ এবং মিশিগানে ভোট দিয়েছেন ১৯ লাখ ভোটার। ২০২০ সালের এ সময় নাগাদ ৬ কোটির মতো ভোটার আগাম ভোট দিয়েছিলেন। ওই সময়ে করোনা মহামারি চলছিল।