পেনসিলভানিয়ায় বক্তব্য দিচ্ছেন কমলা হ্যারিস, ১৩ সেপ্টেম্বর
পেনসিলভানিয়ায় বক্তব্য দিচ্ছেন কমলা হ্যারিস, ১৩ সেপ্টেম্বর

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট চাকরিতে ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে চান কমলা

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি নির্দিষ্ট ফেডারেল চাকরিতে কলেজ ডিগ্রির (স্নাতক) বাধ্যবাধকতা তুলে দেবেন। তাঁর মতে, ডিগ্রি দিয়ে মানুষের দক্ষতা মাপা যায় না। গতকাল শুক্রবার পেনসিলভানিয়ায় দেওয়া এক বক্তব্যে কমলা হ্যারিস এসব কথা বলেছেন।

আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে লড়ছেন কমলা। শুক্রবার তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলে আমি কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা–সংক্রান্ত এই অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বাদ দেব। যেসব মানুষের চার বছরের ডিগ্রি নেই, তাদের জন্য কাজের সুযোগ বাড়াতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

২০২৩ সালের শুরুর দিকে ইউএস সেন্সাস ব্যুরো প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে, ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে ৬২ শতাংশের বেশি মানুষের স্নাতক ডিগ্রি নেই। ২০২০ সালে ভোটারদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনজনেরই কলেজ ডিগ্রি ছিল না।

বেসরকারি খাতগুলোকেও একই রকম পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন বলে উল্লেখ করেন কমলা।

কমলা বলেছেন, ডিগ্রি থাকা মানেই ওই ব্যক্তি দক্ষ, এমনটা নয়।

কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনই বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। কমলা বলেছেন, তিনি মধ্যবিত্তদের জন্য কর কমাতে চান। আর ট্রাম্প বলছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ওভারটাইম ফির (নির্দিষ্ট সময় শেষে অতিরিক্ত সময়ের কাজের জন্য ভাতা) ওপর কর কমাবেন। তাঁরা দুজনই বকশিশ হিসেবে পাওয়া অর্থের ওপর থেকে কর বাদ দেবেন।

শুক্রবার কমলা পেনসিলভানিয়ার উইলকস ব্যারেতে বক্তব্য দেওয়ার সময় গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে মার্কিন সহায়তার বিরোধিতাকারীরা হট্টগোল করেছেন।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং ইসরায়েলকে অস্ত্রের চালান দেওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপের দাবিতে কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ হচ্ছে।

শুক্রবার দেওয়া বক্তব্যে আবারও গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির বিষয়ে নিজের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন কমলা। তিনি বলেন, ‘জিম্মি মুক্তি চুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির সময় হয়েছে।’ এ সময় বিক্ষোভকারীরা হট্টগোল শুরু করলে কমলা তাঁদের থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাদের কণ্ঠস্বরকে শ্রদ্ধা করি। তবে এ মুহূর্তে আমি কথা বলছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, মুসলিম এবং আরব আমেরিকান ভোটারেরা যদি এবার কমলাকে ভোট না দেন তবে তা তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিম এবং আরব আমেরিকানরা ব্যাপকভাবে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ভোট দিয়েছিল।