গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর থেকে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও আশপাশের নৌসীমায় কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর থেকে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও আশপাশের নৌসীমায় কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে

লোহিত সাগরে ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজে হুতিদের ড্রোন হামলা, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বলেছে, লোহিত সাগরে ভারতীয় পতাকাবাহী একটি তেলের জাহাজে ড্রোন হামলা হওয়ার খবর পেয়েছে তারা। ওই এলাকায় থাকা একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের কাছে ওই তেলের জাহাজ থেকে বিপৎসংকেত পাঠানো হয়েছিল।

গতকাল শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এমন দাবি করা হয়েছে। তাদের দাবি, ইরান–সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলা চালিয়েছে।

সেন্টকম বলেছে, ড্রোন হামলার শিকার হওয়া ভারতীয় পতাকাবাহী তেলের জাহাজটির নাম এমভি সাইবাবা। এটি গ্যাবনের মালিকানাধীন।

শনিবার ভারত মহাসাগরে রাসায়নিকবাহী একটি জাহাজেও ড্রোন হামলা হওয়ার দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। তারা বলেছে, ইরান এই ড্রোন ছুড়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি চেম প্লুটো নামের জাহাজটির মালিক জাপানের একটি কোম্পানি। তবে নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠান জাহাজটি পরিচালনা করে থাকে।
সামুদ্রিক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আম্ব্রে বলেছে, রাসায়নিক ও পণ্যবাহী জাহাজটি ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এটি সৌদি আরব থেকে ভারতের দিকে যাচ্ছিল।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর থেকে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও আশপাশের নৌসীমায় কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এর জেরে অনেক জাহাজই পথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের দাবি, গাজার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা চালিয়েছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পেন্টাগনের সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ লাবুন চারটি হামলাকারী ড্রোন ভূপাতিত করেছে। শনিবার ইয়েমেনের হুতিনিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে ড্রোনগুলো ছোড়া হয়েছে বলে দাবি তাদের। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।