সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে একটি লিখিত বার্তা পাঠান। এতে তিনি ঘোষণা করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা স্থগিত করছেন। পরে জানা যায় এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প আসলে এপ্রিল ফুল দিবসে (১ এপ্রিল) সমর্থকদের বোকা বানিয়েছেন। এটি ছিল সমর্থকদের কাছ থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনুদান সংগ্রহের একটি কায়দা।
সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি।
গতকাল সোমবার হঠাৎ করে সমর্থকদের কাছে ই–মেইল এবং খুদে বার্তা পাঠানোর মাধ্যম ব্যবহার করে একটি বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার প্রচার-প্রচারণা স্থগিত করছি।’
বার্তার সঙ্গে একটি লিংকও জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। সমর্থকেরা ওই লিংকে ক্লিক করামাত্রই তাঁদের অন্য একটি সাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ওয়েবসাইটে সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলা হয়, তারা যেন ট্রাম্পের প্রচারণার জন্য অনুদান দেন।
ট্রাম্প সেখানে লিখেছেন, ‘আপনারা কি সত্যিই ভেবেছিলেন আমি প্রচার-প্রচারণা বাদ দিয়েছি? শুভ এপ্রিল ফুল দিবস!’
প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প শিবিরের এমন আচরণ নিয়ে বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করেছে বাইডেন শিবির।
বাইডেনের প্রচার শিবিরের কর্মী আম্মার মুসা বলেন, ‘গত ১৬ দিনে তো ট্রাম্প কোনো প্রচার-প্রচারণা চালাননি। এখন (এপ্রিল ফুল দিবসে) না চালানোতে কী আর এমন আলাদা হয়ে গেল তা বোঝা গেল না।’
বছরের পর বছর ধরে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রার্থীরা ক্ষুদ্র অনুদানকারী ও সমর্থকদের কাছে টানতে টেক্সট বার্তা ও ই–মেইল পাঠিয়ে থাকেন। সরাসরি ফোনও দেন তাঁরা। কখনো কখনো দিনে এমন বার্তা ও ফোন কলের সংখ্যা ১২টির বেশি হয়। এভাবে প্রার্থীরা সমর্থকদের কাছে আর্থিক অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে থাকেন।
এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীরা লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে পারেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খরচ জোগানোর ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অনুদান সংগ্রহের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
বর্তমানে তহবিল সংগ্রহের দৌড়ে বাইডেনের প্রচার শিবির এগিয়ে আছে।