মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের সদর দপ্তরের বাইরে থাকা নামফলক। হোয়াইট ওক, মেরিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ২৯ আগস্ট ২০২০
মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের সদর দপ্তরের বাইরে থাকা নামফলক। হোয়াইট ওক, মেরিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ২৯ আগস্ট ২০২০

করোনার টিকার বিরোধিতা করা মার্টিন মাকারি হতে পারেন ট্রাম্পের এফডিএ প্রধান

জনস হপকিন্সের সার্জন, লেখক মার্টিন মাকারিকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) প্রধান হিসেবে বেছে নিতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন দুটি সূত্র গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ৫ নভেম্বরের ভোটে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। আগামী বছরের জানুয়ারিতে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

কোভিড-১৯ মহামারির সময় গণস্বাস্থ্যবিষয়ক নানা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মাকারি। সে সময় তিনি বারবার করোনার টিকা গ্রহণের বাধ্যবাধকতার বিরোধিতা করেছিলেন এবং প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক্ষমতার ওপর জোর দিয়েছিলেন।

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী খাদ্য ও ওষুধ নজরদারি সংস্থা এফডিএর বার্ষিক বাজেট ৭০০ কোটি ডলারের বেশি।

নতুন ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও উন্মুক্ত বাজারে তা প্রবেশের আগে এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা এফডিএর দায়িত্ব।

এফডিএ কমিশনারকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগে প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের প্রধান হিসেবে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে বেছে নিয়েছেন। পরিবেশকর্মী কেনেডি জুনিয়র করোনার টিকার নিরাপত্তা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিলেন।

মাকারি বাল্টিমোরে বসবাস করেন। ওয়াশিংটনে প্যারাগন হেলথ ইনস্টিটিউটের একজন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। যদি সিনেট থেকে অনুমোদন পাওয়া যায় তবে চিকিৎসক রবার্ট ক্যালিফের উত্তরসূরি হবেন মাকারি।