মাস্ক না পরে জনসমক্ষে যাওয়া মানে মাতাল হয়ে গাড়ি চালানো। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরার জন্য এভাবেই সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরায় গুরুত্ব বোঝাতে এমন কথা বলেন।
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও মেডিসিনের অধ্যাপক জোনাথন রেইনার সিএনএনকে বলেন, ‘প্রকাশ্যে মাস্ক না পরে যাওয়া মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মতোই। আপনি যদি আঘাত না–ও পান, অন্যকে হত্যা করতে পারেন।’
মাস্ক পরা না পরা নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি গতকাল বুধবার বলেন, মাস্ক পরা কোনো রাজনৈতিক ইস্যু হওয়া উচিত নয়। এটা পুরোপুরি জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ইস্যু। মাস্ক জীবাণু প্রতিরোধের কাজ করে।
ফ্লোরিডায় স্থানীয় সময় বুধবার করোনার সংক্রমণ ৫ হাজার ৫০০ বেড়েছে। এটি নিউইয়র্কের চেয়ে আট গুণ বেশি। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিস বলেন, জনসমক্ষে মাস্ক পরার নির্দেশ কার্যকর করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেইনার আরও বলেন, ফ্লোরিডার জনগণকে স্পষ্টভাবে বোঝাতে হবে যে মাস্ক ছাড়া জনসমক্ষে যাওয়া বিপজ্জনক।
মাস্ক পরার বিষয়ে জাতীয় উদাহরণ তৈরি করতে না পারার জন্য তিনি হোয়াইট হাউসকে দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনর্নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তিনি মনে করেন, মাস্ক পরলে পুনর্নির্বাচনের ওপর প্রভাব পড়বে। এটি উদ্ভট।