'দেয়াল নির্মাণে এক পয়সাও দেবে না মেক্সিকো'

.

যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করলে এ জন্য এক পয়সাও দেবে না মেক্সিকো। দেশটির প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো আবারও এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে রাজি, তবে দেশ ও জনগণের জন্য মর্যাদাহানিকর এমন কোনো বিষয় মেনে নেবেন না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বুধবার অনুষ্ঠিত প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার ঘোষণা দেন, মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে দেয়াল অবশ্যই হবে এবং এ জন্য প্রতিবেশী দেশটিকেই অর্থ দিতে হবে। সে অর্থ কীভাবে আদায় করা হবে তা এখনো ঠিক হয়নি, তবে তা দিতেই হবে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল প্যালেসে দেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের বার্ষিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নিয়েতো বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা, অভিবাসন এবং বাণিজ্যসহ আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সবগুলো বিষয়ই আলোচনার টেবিলে রয়েছে। আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে এটা নিশ্চিত যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয়ে স্পষ্ট ভিন্ন মত রয়েছে। অবশ্যই দেয়ালের জন্য আমরা টাকা দিচ্ছি না।’
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং আমাদের জনগণের সুরক্ষার মতো মূলনীতিতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’
তবে নিয়েতো দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে জোর দেন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্পকে সহযোগিতা করবেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি সীমান্তে অস্ত্র ও মাদকের চোরাচালান নিয়েও আলোচনায় আগ্রহ দেখান।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না তাঁর দেশকে।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার সময় মেক্সিকো থেকে আসা লোকজনকে ধর্ষক, অপরাধী ইত্যাদি বলে নিন্দার মুখে পড়েন। তবে ট্রাম্পের মনোনীত পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন দেশটির নাগরিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও এ রকম অভিযোগ তুলতে নারাজ। সিনেটে শুনানিতে মেক্সিকোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলেই জানান তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, মেক্সিকো সীমান্তে মাদক চোরাকারবারীরা অবস্থান করে বৈশ্বিক মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া এ সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশা মেক্সিকোর লোকজন অনুপ্রবেশ করে।