নিউইয়র্কের কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি করোনাভাইরাসে বাতিল হওয়া টিকিটের অর্থ ফেরতের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে ‘ফি বাবদ’ অর্থ আদায় করেই চলছে। অনেকদ দিন ধরেই যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, বাতিল হওয়া ফ্লাইটের টিকিটের অর্থ ফেরত দেওয়ার সময় যাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ কেটে রাখছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। আবার তারিখ দিয়েও নির্ধারিত সময়ে অর্থ ফেরত দিচ্ছে না। একের পর এক তারিখ দিচ্ছে। এতে
গ্রাহকেরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হলে যাত্রীরা তখন থেকে অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন।
মার্চ মাসের ১৫ তারিখের আগে জুন–জুলাইয়ে সামার ছুটিতে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য নিউইয়র্কের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে অনেকে টিকিট কেনেন। কেভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে সব ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। যাত্রীরা এসব টিকিটের রিফান্ড ফেরত পেতে দিনের পর দিনে অপেক্ষা করছেন। আর যারা টিকিটের অর্থ ফেরত পাচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫০ ডলার বা ৭৫ ডলার প্রতি টিকিটে ‘ফি বাবদ’ কেটে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘ফি’ কাটার বিষয়টি আগেই বলে নিচ্ছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। যাত্রীরা এই ‘ফি’ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের অর্থ ফেরত দিতে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে বলছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা।
জ্যাকসন হাইটসের ডিজিটাল ওয়ান, কর্ণফুলী ট্রাভেল এবং ব্রঙ্কসের সাফওয়ান ট্রাভেলসহ একাধিক ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে গ্রাহকেরা অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ করেছেন।
জ্যামাইকার সামি কর্মকার অভিযোগ করেন, ‘আমি করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে সামারের ছুটিতে দেশে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেল থেকে টিকিট কিনি। তারা ডলার ফেরত দেওয়ার সময় আমার কাছ থেকে প্রতি টিকিটে ৫০ ডলার অতিরিক্ত ফি চার্জ করেন।’
জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কর্ণফুলী ট্রাভেলস ও ব্রঙ্কসের সাফওয়ান ট্রাভেলের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারাও গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০ / ৭৫ ডলার অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত ফি আদায় প্রসঙ্গে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলের সিইও বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের অফিস করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বন্ধ। কোন ব্যবসা–বাণিজ্য নেই। আমাদের কর্মচারীদের বেতন, অফিস ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৩০ হাজার ডলার খরচ হয়। বিমান কোম্পানি থেকে রিফান্ডের ডলার ফেরত আনতে ৮ / ১০ দিন পেপার ওয়ার্ক করতে হয়। এসব কাজ করতে আমাদের কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়। এই ডলার আমরা কোথা থেকে দেব? তাই আমরা কর্মচারীদের খরচ বাবদ প্রতি টিকিটে ৫০ ডলার চার্জ করি।’
কর্ণফুলী ট্রাভেলের সিইও এবং আটাব সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনের দাবি, ‘আমরা প্রতি টিকিটে বিমান কোম্পানি থেকে ৫০ / ৬০ ডলার রিওয়ার্ড মানি পাই। কোভিড-১৯-এ বাতিল হওয়া টিকিট থেকে রিওয়ার্ডের ডলার বিমান কোম্পানিগুলো আমাদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসার অবস্থা ভালো না। তাহলে আমাদের ক্ষতি কার কাছ থেকে পুষিয়ে নেব। তাই বাধ্য হয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছি। এ বিষয়ে কমিউনিটির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি চলছে। আমরা অচিরেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেব।’
জ্যাকসন হাইটস এলাকার আবদুল আজিজ বলেন, মহামারি দোকান বন্ধের সময় সব এমপ্লয়ি সরকার থেকে বেকার ভাতা পেয়েছে। এখনো বেকার ভাতা চালু আছে। কর্মচারীরা বেতনের দ্বিগুণ বেকার ভাতা পাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন ডিজাস্টার লোন, পিপি লোন এবং এসবিএ লোন। তাহলে কর্মচারীর বেতন–ভাতা দেওয়ার কথা বলে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক।
এস্টোরিয়া ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলের সিইও নজরুল ইসলাম অবশ্য দাবি করেন, ‘আমি কোন অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে না। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে বিমান কোম্পানি প্রতি টিকিটে ১৫ ডলার ফি আদায় করছে। সেই সেই পনেরো ডলার গ্রাহক দিতে না চাইলে আমি তাও নিচ্ছি না।
বিমান কোম্পানিগুলোর কাছে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ৫০ / ৭৫ ডলার ফি চার্জ করার কোন নির্দেশনা এজেন্সিগুলোকে তাঁরা দেননি।
মনজুরুল হকনিউইয়র্কের কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি করোনাভাইরাসে বাতিল হওয়া টিকিটের অর্থ ফেরতের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে ‘ফি বাবদ’ অর্থ আদায় করেই চলছে। অনেকদ দিন ধরেই যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, বাতিল হওয়া ফ্লাইটের টিকিটের অর্থ ফেরত দেওয়ার সময় যাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ কেটে রাখছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। আবার তারিখ দিয়েও নির্ধারিত সময়ে অর্থ ফেরত দিচ্ছে না। একের পর এক তারিখ দিচ্ছে। এতে
এরপর পৃষ্ঠা ২৬ কলাম ৪ গ্রাহকেরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হলে যাত্রীরা তখন থেকে অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন। মার্চ মাসের ১৫ তারিখের আগে জুন–জুলাইয়ে সামার ছুটিতে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য নিউইয়র্কের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে অনেকে টিকিট কেনেন। কেভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে সব ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। যাত্রীরা এসব টিকিটের রিফান্ড ফেরত পেতে দিনের পর দিনে অপেক্ষা করছেন। আর যারা টিকিটের অর্থ ফেরত পাচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫০ ডলার বা ৭৫ ডলার প্রতি টিকিটে ‘ফি বাবদ’ কেটে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘ফি’ কাটার বিষয়টি আগেই বলে নিচ্ছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। যাত্রীরা এই ‘ফি’ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের অর্থ ফেরত দিতে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে বলছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা। জ্যাকসন হাইটসের ডিজিটাল ওয়ান, কর্ণফুলী ট্রাভেল এবং ব্রঙ্কসের সাফওয়ান ট্রাভেলসহ একাধিক ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে গ্রাহকেরা অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ করেছেন। জ্যামাইকার সামি কর্মকার অভিযোগ করেন, ‘আমি করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে সামারের ছুটিতে দেশে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেল থেকে টিকিট কিনি। তারা ডলার ফেরত দেওয়ার সময় আমার কাছ থেকে প্রতি টিকিটে ৫০ ডলার অতিরিক্ত ফি চার্জ করেন।’ জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কর্ণফুলী ট্রাভেলস ও ব্রঙ্কসের সাফওয়ান ট্রাভেলের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারাও গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০ / ৭৫ ডলার অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত ফি আদায় প্রসঙ্গে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলের সিইও বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের অফিস করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বন্ধ। কোন ব্যবসা–বাণিজ্য নেই। আমাদের কর্মচারীদের বেতন, অফিস ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৩০ হাজার ডলার খরচ হয়। বিমান কোম্পানি থেকে রিফান্ডের ডলার ফেরত আনতে ৮ / ১০ দিন পেপার ওয়ার্ক করতে হয়। এসব কাজ করতে আমাদের কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়। এই ডলার আমরা কোথা থেকে দেব? তাই আমরা কর্মচারীদের খরচ বাবদ প্রতি টিকিটে ৫০ ডলার চার্জ করি।’ কর্ণফুলী ট্রাভেলের সিইও এবং আটাব সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনের দাবি, ‘আমরা প্রতি টিকিটে বিমান কোম্পানি থেকে ৫০ / ৬০ ডলার রিওয়ার্ড মানি পাই। কোভিড-১৯-এ বাতিল হওয়া টিকিট থেকে রিওয়ার্ডের ডলার বিমান কোম্পানিগুলো আমাদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসার অবস্থা ভালো না। তাহলে আমাদের ক্ষতি কার কাছ থেকে পুষিয়ে নেব। তাই বাধ্য হয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছি। এ বিষয়ে কমিউনিটির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি চলছে। আমরা অচিরেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেব।’ জ্যাকসন হাইটস এলাকার আবদুল আজিজ বলেন, মহামারি দোকান বন্ধের সময় সব এমপ্লয়ি সরকার থেকে বেকার ভাতা পেয়েছে। এখনো বেকার ভাতা চালু আছে। কর্মচারীরা বেতনের দ্বিগুণ বেকার ভাতা পাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন ডিজাস্টার লোন, পিপি লোন এবং এসবিএ লোন। তাহলে কর্মচারীর বেতন–ভাতা দেওয়ার কথা বলে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক। এস্টোরিয়া ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলের সিইও নজরুল ইসলাম অবশ্য দাবি করেন, ‘আমি কোন অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে না। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে বিমান কোম্পানি প্রতি টিকিটে ১৫ ডলার ফি আদায় করছে। সেই সেই পনেরো ডলার গ্রাহক দিতে না চাইলে আমি তাও নিচ্ছি না। বিমান কোম্পানিগুলোর কাছে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ৫০ / ৭৫ ডলার ফি চার্জ করার কোন নির্দেশনা এজেন্সিগুলোকে তাঁরা দেননি।