আগামী ২০ বছরের মধ্যে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’–এর ছাপা সংস্করণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পত্রিকাটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মার্ক টমসন।
মার্ক টমসন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, খুব বেশি হলে ১০ বা ১৫ বছর নিউইয়র্ক টাইমস–এর ছাপা সংস্করণ প্রকাশ হতে পারে। হয়তো আরও একটু বেশি হতে পারে। যদি সেটা আগামী ২০ বছর পর্যন্ত ছাপা হয়, তাহলে আমি খুব বিস্মিত হব।’
সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮৫১ সালে নিউইয়র্ক টাইমস যাত্রা শুরু করে। ২০৪০ সালের মধ্যে এই পত্রিকার ছাপা সংস্করণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন মার্ক টমসন।
মার্ক টমসন বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস–এ বর্তমানে নয় লাখের বেশি গ্রাহক রয়েছে। এতে কোনো বিজ্ঞাপন ছাড়াই সপ্তাহে সাত দিনেই ছাপা সংস্করণে মুনাফা করা যাচ্ছে। তবে গ্রাহকেরা এখন ছাপা সংস্করণের চেয়ে স্মার্টফোন, ট্যাব ও কম্পিউটারে পড়তে আরাম বোধ করেন। এই সংখ্যাটাও ক্রমশ বাড়ছে। আর এতে ছাপা সংস্করণ ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
টমসন বলেন, শেষ প্রান্তিকে নিউইয়র্ক টাইমস কোম্পানির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের রাজস্ব প্রথমবারের মতো ছাপা সংস্করণকে ছাড়িয়ে গেছে। আর ছাপা সংস্করণের বিজ্ঞাপনও ৫০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। এই করোনা মহামারির সময়ে তা আরও কমছে। ছাপা সংস্করণে আগের সেই বিজ্ঞাপনের হার আর কখনোই ফিরে আসবে না বলে সন্দেহ পোষণ করেছেন তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই বিজ্ঞাপনের এই হার ক্রমশ কমে আসছে। আমার মনে হয়, এটা আরও অনেক কমবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্ক টাইমস–এর সিইও পদে টমসনের মেয়াদ ফুরোচ্ছে আগামী মাসেই। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মেরিডিথ লেভিন। টমসন সিইও থাকাকালে নিউইয়র্ক টাইমস–এর শেয়ার ৪০০ শতাংশ বেড়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকসংখ্যাও বেড়েছে অনেক। ২০১৫ সালে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১০ লাখ। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ লাখে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এক কোটি গ্রাহক করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন থমসন।
টমসন বলেন, গত দশকের চেয়ে এই দশকে সংবাদের বৈচিত্র্য অনেক বেশি। অনেক বেশি সংবাদ আসছে, আসবে। এর অর্থ, এভাবে চলতে থাকলে নিউইয়র্ক টাইমসের গ্রাহকসংখ্যাও ক্রমাগত বাড়তে থাকবে।