>বাংলা সাহিত্যের অসম্ভব জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। সে হিসেবে আগামী ১৯ জুলাই রোববার তাঁর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা মাথায় রেখে তাঁকে নিয়ে আমাদের এবারের এই আয়োজন—
রোজী আমাকে কোনো চিঠি লেখেনি। লিখেছে হুমায়ূন আহমেদকে। নন্দিত এই লেখক তখন বাংলাদেশের কলেজগামী মেয়েদের হার্টথ্রব। যে মেয়েটি হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে চিঠি চালাচালি করছে, সে আমাকে চিঠি লিখবেই বা কেন? অবশ্য লিখতেই পারত। হুমায়ূন আহমেদের হিমু চরিত্রের মতোই আচরণ ছিল না ঠিক, হিমু চরিত্র তখনো পাঠকের কাছে আসেনি।
পাঠক, আপনাদের মনে আছে ১৯৯০ সালে হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট হিমু চরিত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে ময়ূরাক্ষী উপন্যাস দিয়ে। তাঁর পাঠক হিমুকে পাওয়ার আগে এমন আধা বাউন্ডুলে একটা অবস্থা অন্য কারও ছিল না, তা বলা যাবে না।
হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কিছু বলার আগে রোজীকে নিয়ে একটু বলে ফেলি। ‘সে এখন ঘোমটা পরা কাজল বধূ দূরের কোনো গাঁয়’। রোজী আমার বসের মেয়ে ছিল।
আশির দশক। অস্থির সময়। দেশে সামরিক শাসন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া থমকে গেছে। যুদ্ধ পেরিয়ে আসা প্রজন্মের অস্থিরতার সময়। নানা কাজে, নানা দৌড়ঝাঁপে আমাদের জড়িয়ে পড়ার সময়।
চাকরি নিয়েছি একটি স্বায়ত্তশাসিত করপোরেশনে, নামেই চাকরি। ব্যস্ত থাকি অন্য সব কাজে।
নগর কেন্দ্রের একটু বাইরে চমৎকার এলাকায় করপোরেশনটির আবাসিক এলাকা। পাহাড়ের বেশ ওপরে বাংলো। দূরের আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায়। কখনো হাজারো শ্রমিকের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণ পর পর কারখানার সাইরেন বাজে। আমাদের মনেও তখন নানা বিউগল বাজার সময়।
আবাসিক ভবনগুলোর একটিতে আমার নিত্যযাত্রা তখন। নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুল হালিম। রাজবাড়ির মোল্লাবাড়ির ছেলে। যাত্রা, নাটকে অভিনয় করতেন। প্রথম জীবনে নৌ কমান্ডো ছিলেন। তাঁর ঘর আস্তানা হয়ে উঠে আমার। রাত–বিরাতে ওখানেই পড়ে থাকি। স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে থাকার কারণে পুলিশের তাড়ার মধ্যে জায়গাটি চরম নিরাপদ ছিল।
একদিন জানা গেল, হালিম সাহেব নন, তাঁর স্ত্রী আমাকে বেশি ভালোবাসেন। কথাটা হালিম সাহেব নিজেই জানালেন। তাঁর হাতে তখন হুমায়ূন আহমেদের দেবী উপন্যাস। নিজেকে মিসির আলী হিসেবে প্রকাশ করার চেষ্টা করছেন। হালিম সাহেবের স্ত্রী জানালেন, দেবী বই পড়ে আবদুল হালিম বদলে গেছেন কয়েক দিন ধরে। অনেক কথাই বলছেন, যার কোনো মানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখানেই বলে নেওয়া ভালো, হালিম সাহেবের স্ত্রীর নাম রোজী ছিল না।
বলি, বইটা আমি পড়ে দেখছি। ভাবিকে বলি, আপনি যে আমাকে ভালোবাসেন, এ কথাটার মধ্যে তো কোনো ‘আবোলতাবোল’ নেই!
‘বেশি ভালোবাসেন’ কথাটা নিয়ে বিভ্রমে পড়েছেন ভাবি। আমি ভালোবাসার নিক্তি পাল্লা খোঁজার চেষ্টা করব জানিয়ে ‘দেবী’ পড়ায় মন দিই। মিসির আলীর সঙ্গে তখনই পরিচয় ঘটে। হালিম সাহেব আমার দিকে না তাকিয়েই পুরোনো যাত্রাপালার সংলাপ বলে যাচ্ছিলেন। আর হো হো করে হাসছিলেন। লক্ষ্য করি, জনি ওয়াকারের বোতলটা এর মধ্যেই এদিক থেকে ওদিকে দেখা যাচ্ছে।
আমার হাতে তখন ‘লা নুই বেঙ্গলি’ বইটি দিয়েছিল একটি মেয়ে। বইটি সবে পড়তে শুরু করেছি। ভাবিই জানালেন, পাশের বিল্ডিংয়ে কারও মন ‘দুরুদুরু’ হওয়ার আভাস পাচ্ছেন তিনি। আমি বোকার মতো তাকাই। ভাবি, রোজীকে ইঙ্গিত করলেন।
রোজী আমার বস খান সাহেবের মেয়ে। তার বই পড়ার কথা আমি জানি। এর মধ্যে আমার কাছ থেকে কিছু বই চেয়ে নিয়েছে। পড়ে ফেরত দিয়েছে। তার সঙ্গে কয়েক দফা বই লেনদেন করেছি। তখনকার সময়ের নানা বই, এর মধ্যে মাসুদ রানা সিরিজের বইও ছিল। ভাবি মনে করেছেন ‘লা নুই বেঙ্গলি’ বইটি রোজী দিয়েছে। তিনিই আমাকে মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ন হন্যতে’ বইটি কাঠের আলমারি থেকে বের করে দেন। বলেন, একটা পারস্পরিক আস্থার জোরালো গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। নিজেও এমন পথ পেরিয়ে এসেছেন কিনা!
রোজী যদি আমাকে বইটা দেয়ও, সে যদি ‘দুরুদুরু’ হয়ও, তাতে আপনার ঈর্ষান্বিত হওয়ার কারণ নেই ভাবি!
কথাটা শুনে হালিম সাহেব আবারও হাসেন, হো হো করে হাসেন।
ভাবি বলেন, লোকটা এমনিতেই পাগল ছিল, এখন মনে হয় উন্মাদ হয়ে যাবে!
এর মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ সপরিবারে সিলেটে সফর করছেন। নানা কারণে সংযোগটা আগে থেকেই ছিল। ‘এই সব দিনরাত্রি’ ধারাবাহিক নাটক লিখে তখন জনপ্রিয় হতে শুরু করেছেন তিনি। দেশের একমাত্র টেলিভিশন, বিটিভিতে ধারাবাহিকটা চলছিল। অধিকাংশ সময়েই নাটকটি প্রচারের সময় লোডশেডিং তখনকার নিয়মিত ঘটনা। ব্যাচেলরদের অফিসার্স মেসে তখন একটাই টিভি। আমি রোজীদের পাশের বাসায় বসে নাটকটি দেখতাম। ফাঁকে আলো আঁধারে রোজীকেও দেখতাম।
মাজার ভক্ত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। হালিম সাহেব নিজেও মাজার ভক্ত। আমার ভক্তি যে কোথায়? এখনকার মতো তখনো জানতাম না। হালিম সাহেবকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে মাজারে উপস্থিত হই। তিনি তাঁর ছেলেবেলার শহরে এসে উদ্বেলিত হন। বাল্যবন্ধু শংকরের সঙ্গে দেখা হয়। তখনো তাঁর ছেলে নুহাশের জন্ম হয়নি। গল্প করতে করতেই জানালেন, একটি পুত্রের জন্য তাঁর মনে হাহাকার আছে। মানত করেছেন, আজমির সফর করবেন।
হালিম সাহেব আন্তরিকতার সঙ্গে বুদ্ধি দিলেন, বই চালাচালি করলেই প্রেম হয় না। সাধনা করতে হয়। কী নিয়ে আমার সাধনা, কাকে নিয়ে আমার একাগ্রতা—এ নিয়ে প্রতিদিন গবেষণা করতেন হালিম সাহেব আর ভাবি। এখন যেমন করে এই গবেষণায় নিত্য ব্যস্ত থাকেন আমার স্ত্রী!
হালিম সাহেব বললেন, কোনো একটা যেন মানত করি। বাকিটা তিনি আজমির শরিফ সফর করে পাইয়ে দেবেন। হুমায়ূন আহমেদের মতো আজমির গেলে মন্দ হয় না। হালিম সাহেবও সঙ্গে যাবেন। আমি যে কী নিয়ে, কাকে নিয়ে একাগ্র—এখনকার মতো আগেও জানতাম না। এ নিয়ে হালিম সাহেব ও ভাবি আমাকে নানা পরামর্শ দিতে থাকলেন। আমি তখন রোজীর সঙ্গে বই লেনদেন করি। কতজনের সঙ্গেই এমন লেনদেন চলছিল।
হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বইয়ে তখন কিশোর–তরুণীদের মনোজগতের কথা সহজ করে একের পর এক লিখছেন। রোজীই এসব বইয়ের প্রথম পাঠক। তাঁর কাছ থেকে নিয়ে আমিও পড়ি। কখনো, আমিও আগে পড়ি নানাজনের পাল্লায় পড়ে।
তখনতো আমাদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন ছিল না। ঘরে ঘরেও ফোন ছিল না। থাকলেও তালাচাবি দিয়ে রাখা। এমন অবস্থায় বইয়ের মধ্যেই চিঠি চালাচালি খুব ভালো উপায় ছিল। রোজীর কাছ থেকে বই আনার পর পড়ার আগেই সব পাতা উল্টে দেখতাম, কোনো চিরকুট আছে কি না! একটিও পাইনি। তখন আমরা রিডার ডাইজেস্ট পড়তাম! পশ্চিমা কোনো বুদ্ধিজীবীর লেখায় পড়েছিলাম, ‘He who speaks first loses’. কথাটা সেই তখন থেকেই কেন যে অনুসরণ করে আসছিলাম, আজও জানি না। তখনো বিখ্যাত আমেরিকান লেখক নোরা রবার্টসের ‘If you don’t go after what you want, you’ll never have it. If you don’t ask, the answer’s always no. If you don’t step forward, you’re always in the same place.’—তথ্যটি আমাদের চর্চায় নেই।
মনে করেছি, যা আসার আপনা-আপনিই আসবে। চাইতে হবে না! আমাদের বহু না পাওয়ার পেছনে যে না চাওয়া কাজ করছে, সেসব কথার হিসাব কে মিলাবে আজ?
বদলির চাকরি। রোজীরা চলে গেল দেশের অন্যত্র। হালিম সাহেবরাও চলে গেলেন। যার যার জীবনের নৌকা ভাসতে থাকল নোঙর থেকে নোঙরে। হুমায়ূন আহমেদ আজমির গেলেন। মানতও পূরণ হলো! আমাদের তো কোনো মানতই ছিল না! যে যার মতো ভুলে গেলাম। কে যে কোথায় হারিয়ে গেল, তার কোনো খোঁজই আমরা রাখিনি।
রোজী আমাকে কোনো চিঠি লেখেনি, কেন? তার জবাব পেলাম হুমায়ূন আহমেদ মারা যাওয়ার পর।
নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন দেশের শীর্ষ পত্রিকায় এ নিয়ে রিপোর্ট পাঠাচ্ছি। এর মধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে এসেছেন রাষ্ট্রীয় কাজে। সব কাজ ফেলে লেখক হুমায়ূন আহমেদকে দেখতে গেছেন। এ নিয়ে গল্প করি আমার আমেরিকান লেখক বন্ধু এন ফেরারের সঙ্গে। এন ফেরার ষাটের দশকের দাপুটে নারী। এখনো শরীরটা ধরে রেখেছেন। স্টারবাকস নামের কফি শপে বসে আমরা আড্ডা দিই। হিপ্পি হতে চেয়েছিলেন এন ফেরার। নামকরা লেখক হতে চেয়েছিলেন। আমেরিকায় নিজের যোগ্য কোনো লোক খুঁজে পাননি। ষাটের কোঠায় এসেও খোঁজাখুঁজি চলছে তাঁর।
এন ফেরারের সঙ্গে গল্পের সময় হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গল্প চলে আসছিল। এ লেখকের প্রথম দিকের বই প্রথম যৌবনে কীভাবে পড়তাম, তাঁর বিবরণ দিতে গিয়ে রোজীর প্রসঙ্গ এসেছে কয়েকবার। আমার সত্তর পেরোনো মা একই সঙ্গে ক্যানসারে ধুঁকছেন। হুমায়ূন আহমেদের বই পড়েন কেমোথেরাপি দিতে দিতে। এন ফেরার অবাক হন। একজন লেখক স্কুল পেরোনো তরুণী থেকে মৃত্যুপথযাত্রী আমার মাকে মাতিয়ে রাখতে পারেন তাঁর লেখনীতে! ফেরার বলেন, আমাকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে দেখা করবেন। পানাহারের সময়ে কথাগুলো বলবেন। রোজীকে নিয়ে বার কয়েক জেরা করেন, টিপ্পনী কাটেন ফেরার। যৌবনের নানা ঘটনা উসকে দিয়ে লেখক এন ফেরার এর মধ্যে গল্প লেখার উপাদান খোঁজেন।
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে এন ফেরারের দেখা করার সুযোগ হয়নি। তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুতই অবনতি হচ্ছিল। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি নিউইয়র্কের হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এ নিয়ে আমি রিপোর্ট করেছি, লিখেছি। নগরীর জ্যামাইকা এলাকায় ফিউনারেল হোমে তাঁর প্রতি তাঁর অগুনতি ভক্তের পক্ষ থেকে শেষ কাজটি করেছি কাঁপা হাতে। কাকতালীয় ভাবেই পেশাগত কাজে গিয়ে তাঁকে শেষ গোসলটি আমাকে করাতে হয়েছে। আঙুল ছুঁয়ে দিচ্ছিলাম বারবার কাফনের কাপড় মোড়ানোর আগে। যে আঙুলে জাদু দেখিয়েছেন, সময়কে জয় করেছেন। আমাদের থেকে তরুণীদের তাঁর প্রতি মনোযোগী করে তুলেছেন।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর রোজীর সঙ্গে আবার যোগাযোগ হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দূরের এক নগরে ‘কাজল বধূ’ রোজী আমাকে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে তাঁর চিঠিপত্র বিনিময়ের কথা জানান। আমার অনুরোধে কয়েকটি চিঠিও পাঠিয়ে দেন। চিঠিতে কি লেখা আছে, তাঁর সবই কী আর বলা বা দেখানো যায়? অগুনতি মানুষের প্রিয় লেখকের হাতের লেখা আর এক সদ্য কলেজগামী রোজীকে লেখা চিঠির সবটুকু আমাদের কাছে অপঠিতই থাক! তবে প্রাপকের অনুমতি নিয়েই কিছু চিঠির অংশ এখানে দিয়ে দিচ্ছি—
রোজীকে লেখা এক চিঠিতে হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন, ‘...লেখকের যে ছবিটি তারা ভাবে, বাস্তবে দেখে লেখক মোটেই সে রকম নয়। অতি সাধারণ একজন মানুষ। কড়া মেজাজের রাগী রাগী চেহারার একজন লোক।’
অন্য চিঠিতে লিখেছেন, ‘তুমি জানতে চেয়েছ তোমার মতো বয়সী মেয়েদের এত কথা কেমন করে জানলাম। আসলে আমি খুব অল্প বয়সের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলাম। সে তখন ক্লাস টেনে পড়ত। তাকে আমি খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। সেই সুযোগ ব্যবহার করেছি গল্প উপন্যাসে। লেখকদের তৃতীয় নয়ন থাকে বলে লোকজন বলে। এটা ঠিক নয়। তাদেরও দুটি চোখ। গল্প উপন্যাস সে দুটি চোখ দিয়ে চোখে দেখে সংগ্রহ করতে হয়।
ভালো থাক ও সুখে থাক।’
একটা চিঠিতে জানা জানা গেল, লেখক চট্টগ্রামে যাচ্ছেন। যাওয়ার আগে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, ‘বর্ষায় সমুদ্র কেমন দেখায়, তা জানার জন্যই এ ভ্রমণ। চট্টগ্রাম যে কদিন থাকব সে কয়েক দিন তুমি (ইচ্ছে করলে) আমার সঙ্গে সব সময় থাকতে পারো, প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে (মৈত্রয়ী দেবী তাই করেছেন) হা হা হা।
ভয় নেই। ঠাট্টা করছি। তোমার বাসায় কী করে যেতে হয়, তার একটা ম্যাপ এঁকে পাঠাও। তোমাদের কি টেলিফোন আছে?
আমার সঙ্গে থাকবে আমার স্ত্রী, তিন কন্যা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের m.sc ক্লাসের ২২ জন ছাত্র। তাদের সবাইকে নিয়ে রাত দুপুরে তোমার বাসায় এসে যদি বলি, “থাকতে দাও”, তাহলে কেমন হয়? ভয় নেই ভয় নেই।’
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর আগেও এ ঘটনাটি জানতে পারলে চিঠি দেখিয়ে বলে নিতাম, আপনার সঙ্গে চিঠি চালাচালি করছে বলেই রোজী আমাকে চিঠি লেখেনি স্যার।
তখন কী বলতেন হুমায়ূন আহমেদ!
ইব্রাহীম চৌধুরী
আবাসিক সম্পাদক, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণ
ibrahim. chowdhury@prothomalo. com