করোনা মহামারি শুরুর পর বিশ্বজুড়ে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের ঘরে বসে অফিসের কাজ করার (হোম অফিস) সুযোগ করে দেয়। মহামারির প্রকোপ কমে গেছে। এখন কর্মীদের অফিসে ফিরতে বলছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অনেক কর্মী বলছেন, যদি অফিসে ফিরতে বাধ্য করা হয়, তাহলে তাঁরা চাকরি ছেড়ে দেবেন। গত মার্চে রবার্ট হাফ নামে বৈশ্বিক একটি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান একটি জরিপ প্রকাশ করে। ওই জরিপের ফল বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক কর্মী পূর্ণকালীন অফিসে ফিরতে বাধ্য করলে অফিসে ফেরার চেয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
চলতি মে মাসের শুরুতে এসব কর্মীর জন্য অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো একটি ঘটনা ঘটে। অফিসে ফেরার নির্দেশনা আসার পর মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপলের মেশিন লার্নিং বিভাগের প্রধান ইয়ান গুডফেলো পদত্যাগ করেন। অ্যাপল গত ১১ এপ্রিল থেকে সপ্তাহে এক দিন অফিসে এসে কাজ করার ঘোষণা দেয়। ২ মে তা সপ্তাহে দুই দিন করার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। পরে ২৩ মে থেকে সপ্তাহে তিন দিন অফিস করার নির্দেশনা জারি করে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। এরপরই ইয়ান গুডফেলো পদত্যাগ করেন।
বিবিসি ও রয়টার্সের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে অ্যাপলের মন্তব্য চেয়ে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি অ্যাপলের ৬৫০ জনের বেশি কর্মীকে নিয়ে একটি জরিপ করে ব্লাইন্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এতে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেওয়া অ্যাপলের ৬৫০ কর্মীর মধ্যে ৭৬ শতাংশ কর্তৃপক্ষের কর্মীদের অফিসে ফেরানোর নীতিতে সন্তুষ্ট নয়। এ ছাড়া ৫৬ শতাংশ জানান, এটা হলে তাঁরা চাকরি ছাড়ার কথা বিবেচনা করবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে তাঁরা অবাক হননি। আর এ কারণেই গুডফেলোর পদত্যাগে অ্যাপলের কর্মীরা বিস্মিত হননি।
কর্মীদের মধ্যে এমন চিন্তাভাবনা আরও আগেই শুরু হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেসের সাংগঠনিক আচরণ ও তত্ত্বের সহযোগী অধ্যাপক অনিতা উইলিয়ামস উলি। বরং সিদ্ধান্ত নিতে কর্মীরা দেরি করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে অবাক হইনি। বলতে গেলে অফিসে ফেরার নীতি নিয়ে বড় একটি প্রতিষ্ঠানের একজন নির্বাহীর পদত্যাগে এত সময় কেন লাগল, সেটা ভেবে অবাক হয়েছি।’
তবে এ ক্ষেত্রে গুডফেলো একা নন। তাঁর মতো আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা অফিসে ফেরার নীতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন। এ জন্য তাঁরা অফিসে ফেরার চেয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়াকে বেছে নিচ্ছেন। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানে এমন আরও অনেক কর্মী রয়েছেন, যাঁরা এখনো পদত্যাগ করেননি, তবে পদত্যাগের চিন্তাভাবনা করছেন।
কিছু নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও বিশ্লেষক বলছেন, অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা অফিসে ফিরতে চান না বলে চাকরি ছেড়েছেন। এর মানে হলো, অনেক কর্মীর মধ্যেই এমন চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। তাঁর পথ অনুসরণ করে আরও কর্মী অফিসে ফেরার বদলে চাকরি ছাড়তে যাচ্ছেন। এখনো পুরোদমে অফিসগুলো চালু হয়নি। চালু হলে আরও অনেক পদত্যাগপত্র আসতে থাকবে।
ভারতেও এমন ঘটনা দেখা যাচ্ছে। মহামারির প্রকোপ আগের মতো না থাকায় কর্মীদের অফিসে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতীয় কোম্পানি বাইজুর শিক্ষা-প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান হোয়াইটহ্যাট জুনিয়র। কিন্তু অফিসে ফিরতে পারবেন না জানিয়ে দুই মাসে আট শতাধিক কর্মী পদত্যাগ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মী অবশ্য বলছেন, ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ কর্মীদের অফিসে ফেরানোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে করে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
তবে অফিসে ফেরার নীতি নিয়ে অসন্তুষ্ট কর্মীদের চাকরি ছাড়ার কোনো পরিসংখ্যান নেই। কারণ, এ–সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে প্রতিনিয়ত বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে এ কারণে পদত্যাগের খবর আসছে। আরও অনেকে পদত্যাগ করবেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
কর্মী নিয়োগের কাজ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কর্ন ফেরি। প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ক্লায়েন্ট পার্টনার এলিস ফ্রিডম্যান বলেন, কোম্পানিগুলো আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে। পুরোদমে আগের মতো অফিসে ফেরার নীতি নিয়েছে। ফলে কর্মীদের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, তাঁরা আর চাকরি করবেন কি না। আরেকটি বাস্তবতা হচ্ছে, একই পদে অন্যত্র অনেক পদ খালি আছে।
তাই কর্মীদের বাধ্য করার যে অবস্থান এত দিন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে আসছিল, তার অবসান ঘটছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। তাঁদেরই একজন ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এরিক আনিচিচ। তিনি বলেন, এই দুটি ঘটনা কর্মীদের বাধ্য করার আগের ব্যবস্থার অবসান ঘটাচ্ছে। যখন কর্মীরা এভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করবেন, তখন অন্যদেরও সেভাবে চিন্তা করতে হবে। অধ্যাপক এরিক বলেন, শীর্ষ কর্মকর্তাদের এভাবে পদত্যাগ করতে দেখে অন্য কর্মীরা চাকরি ছাড়ার ব্যাপারে উৎসাহিত হবেন।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক এরিকের সঙ্গে একমত উইলিয়ামস উলি। তিনি বলেন, অধিকাংশ কর্মীর এমন বন্ধু আছেন, যাঁরা চাকরি পরিবর্তন করছেন। ফলে তাঁদের দেখে এসব কর্মীও সাহসী হবেন। বন্ধুদের মতোই চাকরি ছাড়ার কথা ভাববেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের মনে ভয়ের ব্যাপারও কম থাকবে।
অফিসে ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি উদ্ভূত সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে অনেক কোম্পানি। তবে এর ফল শেষ পর্যন্ত ভালো হচ্ছে না। এতে কোম্পানি ও কর্মীর বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দুই পক্ষকে আর একই অবস্থানে দেখাও যাচ্ছে না।
অধ্যাপক এরিক বলেন, মহামারিতে অনেক কিছু নিয়েই অনিশ্চয়তা শুরু হয়। সেসবের বেশির ভাগ এখন আর নেই। তাই গত দুই বছরে যা করেছে তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মীরা তাঁদের পছন্দ ঠিক করছেন। এসব বিষয় এড়িয়ে কাজ করাটা খুবই কঠিন হবে। এমনকি পাঁচ দিন অফিসের বাইরে থেকে কাজ করার সুবিধা তিন দিনে নামিয়ে আনা হলেও এমনটা ঘটতে পারে।
ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নারায়ণা মূর্তি অবশ্য বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, তাঁর মনে হয়, কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করার যে ধারণা, সেটা ভালো নয়। তিনি বলেন, ‘আমি আদতে ঘরে বসে কাজ করার পক্ষে নই। যখন কর্মীরা ঘরে বসে অফিসের কাজ করবেন, তখন ধীরে ধীরে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি দুর্বল থেকে দুর্বলতর হতে থাকবে।’
তবে অফিসে ফেরার নির্দেশে অনেকেই পদত্যাগ করলেও সবার এমন সুযোগ নেই। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, অ্যাপলের মেশিন লার্নিংয়ের প্রধান গুডফেলো চাকরি ছাড়ার আগেই আরেকটি চাকরি জুটিয়ে নিয়েছেন। আরেক মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছিল। এ কারণে অনেক কর্মীকেই নানা বিষয় নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।
অধ্যাপক এরিক আরও বলেন, ‘আপনি যদি শ্রমিক শ্রেণির কর্মী হয়ে থাকেন, তাহলে এটা বেশ দারুণ সময় হতে পারে। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের অবস্থান আরও সংহত করার সুযোগ পাবেন। কারণ, শ্রমবাজারের পরিস্থিতি ভালো নয়। অনেক কোম্পানি প্রার্থীদের নিয়ে প্রতিযোগিতাও করছে। এমনকি এসব প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা সম্প্রতি পেশাজীবন শুরু করেছেন। তাই প্রযুক্তি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো খাতের কর্মীদের ক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে, তাঁরা অফিসের নীতির সঙ্গে একমত হতে না পারার প্রতিবাদে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন।
তবে কর্মীদের ক্ষমতায়ন হলেও সবার অবস্থা গুডফেলোর মতো নয়। কারণ, গুডফেলো ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে ছিলেন। তাঁর কাজের দক্ষতা ছিল অনেক বেশি এবং অনেক মানুষের সঙ্গে তাঁর জানাশোনা ছিল। তাই একজন কর্মীকে চাকরি ছাড়ার আগে ভাবতে হচ্ছে, তিনি ওই খাতের দক্ষতা ভালোভাবে দখল করতে পেরেছেন কি না। সেই খাতে কর্মী নিয়োগের পরিস্থিতিটা কেমন এবং তিনি এখন যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, তার চেয়ে ভালো সুযোগ-সুবিধা পাবেন কি না। ঊর্ধ্বতনের জন্য কাজটা অনেক সহজ হলেও কম দক্ষ কর্মীদের অতটা সুযোগ নেই।
তবে ফ্রিডম্যান বলেন, অফিসে ফেরার নির্দেশ আসার কারণে যেসব কর্মী চাকরি ছাড়ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ব্যক্তিগত পরিস্থিতি। মহামারিতে কর্মীদের মধ্যে অনেক কিছু ঘটেছে। এর মাধ্যমেই এ বিষয় উঠে এসেছে। তিনি বলেন, শুধু বড় পদে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নয়, এখানে আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে যে একজন কর্মী কত দ্রুত বুঝতে পারছেন, তিনি বর্তমান চাকরি ছাড়লে কত দ্রুত আরেকটি চাকরি পাবেন।
অফিসে ফেরার নির্দেশ আসার কারণে সত্যি সত্যি যদি আরও অনেকে চাকরি ছাড়েন, তাহলে কী হবে? উইলিয়ামস উলি বলেন, অনেক কোম্পানি সম্ভবত কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করতে পারে, অনেকেই কর্মীদের চাকরি ছাড়ার হিড়িক দেখে আপাতত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারেন, আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মীদের চলে যেতে দেখেও তাদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে কাজ চালাবে। যেসব প্রতিষ্ঠান কর্মীদের অফিসে ফেরানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিল, ইতিমধ্যে এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের অবস্থানে নমনীয় হয়েছে। এমনকি আগের অবস্থান থেকে সরেও এসেছে। যেমন অ্যাপল কর্মীদের অফিসে ফেরানোর সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছে। তবে এর কারণ হিসেবে কোভিড শনাক্ত হওয়া আবার বেড়ে যাওয়ার কথা বলছে। তবে কোভিডের কারণে, নাকি কর্মীদের চাকরি ছাড়তে দেখে অ্যাপল তাদের সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে অ্যাপল অফিসে ফেরার সিদ্ধান্তটি আপাতত স্থগিত করায় কর্মীরা খুশি বলেই জানা যাচ্ছে।
তবে প্রতিষ্ঠানগুলো যে সানন্দ এটা করছে, ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে এসব কোম্পানিকে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হচ্ছে। অফিসের বাইরে অর্থাৎ ঘরে বসে কাজ করার নতুন এই ব্যবস্থাকে তাদের হয়তো স্থায়ী পদ্ধতি হিসেবেও বেছে নিতে হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রবার্ট হাফের রিচ ডিওসিং বলেন, ‘অনেক কর্মীর জন্য এটা হয়তো একটা কঠিন বাস্তবতা। কিন্তু আগের মতো ব্যবসা করার সময় পেরিয়ে গেছে। কোথায় থেকে কাজ করবেন, কর্মীদের কাছে এটা এখন একটা বড় বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। যদি আপনি তাঁদের নমনীয় কাজের পরিবেশ দিতে না পারেন, তাহলে কর্মীরা অন্য উপায় খুঁজবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বেতন কম নিলে তাঁদের সবাইকে অফিসের বাইরে থেকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে এমন পদ্ধতিও কাজে আসবে না। উলি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি নেই। আমার মনে হয়, কর্মীরা স্বেচ্ছায় এ কথা বলবেন না।’
এ ব্যাপারে ফ্রিডম্যানও একমত। স্পটিফাইয়ের মতো অনেক প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্পটিফাইয়ের কর্মীরা কোথায় থেকে কাজ করছেন, সেটা না দেখে তাঁদের কাজের জন্য নিউইয়র্ক শহরের কর্মীদের যেমন বেতন দেওয়া হয়, তেমন বেতন দিচ্ছে। তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি থাকার ব্যবস্থা করে না এবং বলে যে আমরা আপনাকে বেতন দিচ্ছি, আপনি যেখানে চান বাস করুন, সেসব কোম্পানি ছেড়ে কর্মীদের এভাবে চলে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। এর একটা উদাহরণ দেওয়া যাক।
যেমন এয়ারএনবি ঘোষণা দেয়, তারা আর কখনো কর্মীদের অফিসে ফিরতে বাধ্য করবে না। এরপর থেকে চলতি মাসের শুরুতে তাদের চাকরির জন্য যে ওয়েবসাইট আছে, সেখানে ঢোকা মানুষের সংখ্যা ওই সময়ের চেয়ে ৮০ হাজারের বেশি বেড়েছে।
উলি বলেন, যেসব ইঙ্গিত আসছে, তা দেখে এই উপসংহার টানা যায় যে অফিসগুলো অফিসে ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পর আরও অনেক কর্মী সে সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে চাকরি ছেড়ে দেবেন।
তবে গুডফেলোর মতো আরও অনেকেই চাকরি ছাড়বেন কি না, সেটা এখনো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। অবশ্য অনেক কর্মী ব্যাপারটি নিয়ে ক্লান্ত। অ্যাপলের এক হাজারের বেশি কর্মী কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দিয়েছে। তাতে তাঁরা লিখেছেন, ‘এখানে একতরফা কোনো সমাধান নেই। কীভাবে কাজ করলে সবচেয়ে ভালো হবে এবং সেরাটা দিতে পারব, সে সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে দিন।’
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, এনডিটিভি, উইঅন