যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি স্কুলে ঢুকে নির্বিচার গুলি চালিয়ে ১৯ শিশু ও ২ শিক্ষককে হত্যা করেন ১৮ বছর বয়সী সালভাদর রামোস। বন্দুক নিয়ে নির্বিচার গুলি চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের সময় এক জার্মান কিশোরীকে হামলার বার্তা পাঠান তিনি। অনলাইনে এই জার্মান কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় সালভাদর রামোসের।
ওই বন্দুকে সালভাদর জানান, তিনি তাঁর দাদিকে গুলি করেছেন এবং অনলাইনে গোলাবারুদ কেনার অর্ডার দিয়েছেন। জার্মান বান্ধবীকে বন্দুকধারীর পাঠানো বার্তা দেখেছে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস। খবর যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালভাদর রামোসের ওই জার্মান বন্ধুর বয়স ১৫ বছর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ ইউবোতে তাঁদের পরিচয়। ওই নারী বন্ধুকে পাঠানো বার্তায় সালভাদর বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমি আমার দাদির মাথায় গুলি করেছি। এখন একটি এলিমেন্টারি স্কুলে গুলি করতে যাচ্ছি।’
বন্ধুকে এই বার্তা পাঠানোর পরই টেক্সাসের ইউভালডেতে রব এলিমেন্টারি স্কুলে যান। সেখানে গিয়ে নির্বিচার গুলি চালান। এতে ১৯ জন কম বয়সী শিক্ষার্থী ও তাদের দুই শিক্ষক প্রাণ হারান। এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ইউবোর পক্ষ থেকে ‘গভীর দুঃখ প্রকাশ’ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার কথা বলা হয়।
ইউবোর মুখপাত্র বলেন, ‘অপূরণীয় এ ক্ষতির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদন্তে সহযোগিতা করছি আমরা। এখন এ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে আইনত কোনো ব্যবহারকারীর তথ্য প্রকাশ করতে পারি না। তবে এর পর থেকে নিষিদ্ধ করা একটি অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্ত করছি।’
টেক্সাসের গভর্নর সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, বন্দুকধারী সালভাদর রামোসের বয়স ১৮ বছর বলে জানা গেছে। ইউভালডে শহরের স্কুলে হামলায় সালভাদর এআর-১৫ বন্দুক ব্যবহার করেন। মেক্সিকো সীমান্ত থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার ও সান আন্তোনিও থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরের কৃষি ক্ষেত্রে প্রায় ১৬ হাজার বাসিন্দার একটি শহর ইউভালডে। বাসিন্দারা প্রধানত লাতিন।
অ্যাবট আরও জানিয়েছেন, বন্দুকধারীর দাদি তাঁকে গুলি করার আগে পুলিশকে ফোন করেছিলেন। প্রায় এক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্কুলে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্দুক হামলা। কর্তৃপক্ষ বলছে, চতুর্থ গ্রেডের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে বাচ্চাদের আটকে রেখে গুলি করেন বন্দুকধারী। উচ্চবিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া রামোস ইউভালডেতে থাকতেন। তাঁর নামে মামলা বা তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল না।