স্মৃতি ভদ্রের 'অন্তর্গত নিষাদ ও পায়রা রঙের মেঘ'

.

গল্পকার স্মৃতি ভদ্র ‘পেনসিল-জাগৃতি প্রতিভা অন্বেষণ-২০১৮’ প্রতিযোগিতার বিজয়ী। তাঁর প্রথম বই ‘অলোকপুরীর ডাক’ ইতিমধ্যেই ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। স্মৃতি ভদ্রের গল্প ভীষণ মানবিক বোধের। দারুণ ছন্দময় ভাষায় তরতরিয়ে এগোয় গল্পের বুনন। ইতিমধ্যেই প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় গল্পকার হিসেবে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। দশটি ছোট গল্পের সংকলন বইটি। গল্পগুলোর নাম: আবর্তন, নিষাদ, খাঁচা, কাঁচের দেয়াল, কালপুরুষ, উত্তরালয়, চতুষ্কোণ, উত্তরাধিকার, বৃত্তের বাইরে, সমুখে কৃষ্ণপক্ষ।
গল্পকার সাদিয়া সুলতানা স্মৃতি ভদ্রের লেখা নিয়ে বলেন, “হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো সূক্ষ্ম একটি পুষ্পরেণুও কারও কারও দৃষ্টি এড়ায় না। মানুষের দৃষ্টি সন্ধিতে জমে থাকা পরশপাথরও চুর চুর করে ভেঙে পড়ে তার জাদুকরী আঙুল স্পর্শে। তেমনই জাদু স্পর্শ, তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি আর গভীর মমতায় জীবনের গল্প রচে চলেন গল্পকার স্মৃতি ভদ্র। পালক নরম শব্দের বুনন, দুর্দান্ত কল্পনাশক্তি আর নিগূঢ় মমত্ববোধে ঠাসা ‘অন্তর্গত নিষাদ ও পায়রা রঙের মেঘ’ এর গল্পগুলো তাই ভাবায়, কাতর করে অহর্নিশ।”
নিজের বইটি নিয়ে লেখকের ভাবনা, “জীবন কিছুটা মুক্তগদ্যের মতো-সুরময় শব্দের গাঁথুনীতে এক তন্ময় যাত্রা। পথে কখনো বুনো মর্নিং গ্লোরি আবার কখনো হলুদ ভৃঙ্গরাজ। কখনো অনতি শরতের উজ্জ্বল কমলা রঙের বিকেল, আবার কখনো হেঁয়ালী ধূসরের বাড়ন্ত সকাল। জীবনের এই আনন্দযজ্ঞেও খুব নিভৃতে বেজে চলে বেহাগের সুর। নৈঃশব্দ্যের নিনাদ। সুষমামণ্ডিত সেই নৈঃশব্দ্য সব সময় প্রতিধ্বনিময়, অনুভবে গতিময়, শাব্দিক আলোড়নে আন্দোলিতময়। সেই প্রতিধ্বনিত শব্দগুলো ইঙ্গিতে ইশারায় গল্প বলে যায়-অন্তঃপুরের গল্প, ত্রিমাত্রিক জগতের গল্প। নির্জন দুপুর বা প্রায়ান্ধকার সন্ধ্যায় সে সব গল্প আয়েশি আসর জমায়। শোনায় মানবজীবনের অস্তিত্ব, জানায় মানব-অস্তিত্বের সৌন্দর্য। এর সঙ্গে সঙ্গে মানব-অস্তিত্বের অন্ধকারময়তার সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেয় সযতনে। সেই অন্ধকারের সঙ্গে যুঝেই প্রতিটি মানব জনম সন্ধান পায় এক আলোকিত আকাশের। মানবজীবনের সেই অন্ধকারময়তা অন্তর্নিহিত নিষাদ, অন্তর্গত নিষাদ আলোয় পরিশুদ্ধ হয়। পায়রা রঙের মেঘ হয়ে ডানা মেলে আকাশে।” সাড়ে ছয় ফর্মার বইটি পাওয়া যাবে পেনসিল পাবলিকেশনস-এর স্টলে।