স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা

আলোচনা সভায় বক্তারা
আলোচনা সভায় বক্তারা

বাংলাদেশর স্বাধীনতা অর্জনের মূল লক্ষ্য থেকে দেশের মানুষ সরে গেছে। এক শ্রেণির মানুষের কাছে গোটা দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। এ কারণে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, গণতন্ত্রহীনতা মানুষকে পেয়ে বসেছে। তরুণ প্রজন্ম জানে না গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী?

২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স ফোরাম ইউএসএ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আমার বাংলাদেশ পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, বিএনপিকে শেষ করে দিতে পারলে তাদের সামনে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না। আর বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগকে যেকোনো মূল্যে হটাতে হবে। কিন্তু এই মানসিকতা কেন? আমরা সবাই মিলে একটি ভালো রাজনীতি করতে পারি না। যারা ক্ষমতায় আসবে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এক টেবিলে বসে রাজনীতিকেরা আলোচনা করবেন। তাহলে আমাদের দেশ বিশ্বের কাছে একটি সুনাম অর্জনকারী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কাজী জেসিন বলেন, দেশের মানুষ কি গণতন্ত্র ভোগ করতে পারছে? এটা আমাদের আজ ভাবতে হবে। দেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

চিকিৎসক ও রাজনীতিক মুজিবুর রহমান বলেন, দেশের শীর্ষ নেতাদের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। গুম-খুন এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার। এ থেকে জাতিকে বের করে আনতে হবে।

আমার বাংলাদেশ পার্টির নেতা মজিবুর রহমান বলেন, রাজনীতির মূল বিষয়বস্তু হলো সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রের প্রাণ হলো জনগণ। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিন মূল নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসন বন্ধ হবে। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে আত্মশুদ্ধি ও শুদ্ধাচারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নৈতিক শক্তির পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী দেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স ফোরামের কো-অর্ডিনেটর আশিক মাহমুদ ও সহকারী কো- অর্ডিনেটর আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—সাংবাদিক মঈনুদ্দিন নাসের। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—শরাফত বাবু, জসিম উদ্দিন, সেলিম রেজা, রুহুল আমিন, গোলাম জাকারিয়া, রেজবুল কবির, মো. কাশেম ও আজাদ রহমান।