সৌদি ইস্যু নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘দ্বিগুণ তিরস্কার’ করল মার্কিন সিনেট। গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের নিন্দা জানিয়ে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রিয়াদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দিয়েছে সিনেট। একই সঙ্গে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দোষী বলে মনে করছে তারা।
‘ইয়েমেন যুদ্ধে রিয়াদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের’ প্রস্তাবে পক্ষে-বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫৬-৪১। ইয়েমেনের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটিতে চলমান দুর্ভিক্ষে সংকটে রয়েছে হাজার হাজার শিশুর জীবন। জাতিসংঘ একে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক মানব–সংকট বলে আখ্যায়িত করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই প্রথম চেম্বার অব কংগ্রেস ওয়ার পাওয়ার অ্যাক্টের অধীনে কোনো সামরিক বাহিনী থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের প্রস্তাব সমর্থন করল। এ জন্যই এই অবস্থান ঐতিহাসিক বলছেন বিশ্লেষকেরা। ১৯৭১ সালের ওয়ার পাওয়ার অ্যাক্ট অনুযায়ী, হামলার ক্ষমতা রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ১৯৭৩ সালে ওই আইনে সংশোধন এনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করা হয়।
আসলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সৌদির ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমে গেছে। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে খুন হন খাসোগি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে খাসোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। তারা দাবি করে, কনস্যুলেটের ভেতরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে খুন হন খাসোগি। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ নাকচ করে আসছে।