সাগরতলে গবেষণাকেন্দ্র

সাগরতলের গবেষণাগারের নকশা। সিএনএন
সাগরতলের গবেষণাগারের নকশা।  সিএনএন

পৃথিবীপৃষ্ঠের ৭১ শতাংশই সাগর-মহাসাগর। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) তথ্যমতে, মানুষ এই বিশাল জলরাশির মাত্র ৫ শতাংশ জয় করতে পেরেছে। আর মানচিত্রে আনতে পেরেছে ২০ শতাংশ। বাকি অংশ পুরোটাই এখনো মানুষের অজানা। সেই অজানাকে জানতে সাগরতলেই গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ফ্যাবিয়ান কস্তা ও শিল্প নির্দেশক ইভস বেহার সাগরতলে এই গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ক্যারিবীয় সাগরে নেদারল্যান্ডসের দ্বীপ কিউরাসাওয়ের উপকূলে সাগরপৃষ্ঠের ৬০ ফুট নিচে গবেষণাকেন্দ্রটি হবে। এর আয়তন হবে ৪ হাজার বর্গফুট। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা এসে সাগরের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সাগরতলের প্রাণী নিয়ে গবেষণা করবেন।

দ্বিতল চক্রাকার এই গবেষণাগারে থাকবে মূল গবেষণাগার, গবেষকদের থাকার জায়গা, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং একটি পুল। এই পুলে নেমে যে কেউ চলে যেতে পারবেন সাগরতলে। মহাকাশ গবেষণার জন্য যেমন পৃথিবীর কক্ষপথে আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, ঠিক তারই আদলে তৈরি হবে সাগরতলের এই গবেষণাকেন্দ্র। এখানেও সরকারি সংস্থা, বিজ্ঞানী ও বেসরকারি খাত অংশ নিতে পারবে। ফ্যাবিয়ান কস্তা এক ভিডিও কলে ইভস বেহারকে বলেছেন, ‘মহাকাশ জয়ের চেয়ে হাজার গুণ বেশি জরুরি সমুদ্র জয় করা। কারণ, পৃথিবীর টিকে থাকা অনেকাংশে নির্ভর করছে সাগরের ওপর।’