সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান তাঁর ভালো কর্মের জন্য মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
১৫ সেপ্টেম্বর জ্যাকসন হাইটসে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম এম সাইফুর রহমানের দশম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নিউইয়র্কে মরহুম এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ এই স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী চৌধুরী সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহবাব হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার ফাতেমা সালাম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস আহমদ, সাবেক সহসভাপতি মনজুর আহমদ চৌধুরী, বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, মূলধারার রাজনীতিক ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান, মৌলভীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু মিয়া, ঢাকা সিটি যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মাকসুদ আহমদ, বিএনপির নেতা মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাইদ আহমদ, এবাদ চৌধুরী, বাসেত রহমান, বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দীন, আবদুর রহিম, মাওলানা রশিদ আহমদ, আমানত হোসেন আমান, জাবেদ উদ্দীন, এমদাদ চৌধুরী, ওবায়দুল হক, জাবের আহমদ, এমদাদ রহমান তরফদার, রিপন মিয়া, সৈয়দ গৌসুল হোসেন, খলিলুর রহমান, সোহরাব হোসেন, কাজী আমিনুল হক, রেজাউল আজাদ ভূঁইয়া, মাসুক মিয়া, শাহ রকিব উদ্দীন, শাহবাজ আহমদ, চৌধুরী মোমিত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহসভাপতি আবদুল মছব্বির, মৌলভীবাজার ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ মামুন, সৈয়দ নজরুল, মনজুর চৌধুরী, কয়েছ আহমদ চৌধুরী, বোরহান উদ্দীন, শাহ মামুন আহমদসহ মৌলভীবাজারের বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাংলাদেশ থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন সাইফুর রহমানের বড় ছেলে ও মৌলভীবাজার বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান। তিনি নিউইয়র্কের মতো ব্যস্ত জায়গায় তাঁর বাবার স্মরণে এই আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান এবং সবার কাছে দোয়া চান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুস সালাম বলেন, সাইফুর রহমান দেশের এক দুর্যোগময় মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির হাল ধরেছিলেন। তাঁর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ তলাবিহীন জুড়ির অপবাদ গুছিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হয়েছিল। সাইফুর রহমান দেশপ্রেমিক ছিলেন তাই তাঁর সময় ব্যাংক ডাকাতি হয়নি। আজ দেশের কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। এই অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে জাতি এখন সাইফুর রহমানের মতো একজন দক্ষ এবং সফল মন্ত্রীর অভাব অনুভব করছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন বলেন, সাইফুর রহমান সত্যিকার অর্থে একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। তাই আজ তাঁর মৃত্যুর ১০ বছর পরও আমরা আমেরিকার মতো এত ব্যস্ততম দেশে দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে মানুষ সমবেত হয়েছে সাইফুর রহমানের জন্য দোয়া করতে।
ফাতেমা সালাম বলেন, সাইফুর রহমান যত দিন দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন আমরা দেখিনি কখনো তাঁকে দলীয় স্বার্থ বিবেচনা করতে। সাইফুর রহমানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে আবদুল লতিফ সম্রাট বলেন, এমন সৎ এবং মেধাবী রাজনীতিক সচরাচর দেখা যায় না। জিল্লুর রহমান বলেন, এক সময় আমরা আমেরিকা থেকে বৈধ উপায়ে দেশে টাকা পাঠাতে পারতাম না।
সভায় মরহুম এম সাইফুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রশিদ আহমদ।