করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে বা ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস টেস্ট করিয়েছেন এমন ইমিগ্রান্টদের গ্রিনকার্ড পেতে সরকার কোন বাধা দেবে না। ওয়াশিংটন ডিসির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মার্কিন নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কেন কুকিনেল্লি অভিবাসীদের এই আশ্বাস দিয়েছেন।
সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেয় এমন কোন অভিবাসী করোনা-পেজিটিভ হলে তাদের গ্রিনকার্ড প্রাপ্তির অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না। যারা এই নতুন করোনভাইরাসের পরীক্ষা করিয়েছেন বা কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম এখন প্রয়োগ করা হবে না।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) বিভাগ জানিয়েছে, চিকিৎসা বা প্রতিরোধমূলক পরিষেবা চাইলে আপনি সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেন। এতে করে আগের নিয়মের অধীনে কারও অভিবাসনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না, যা সুপ্রিম কোর্ট পাস করার পর গত মাসে কার্যকর হয়েছিল।
অভিবাসন সংস্থা স্বীকার করেছে, কিছু অভিবাসীর মধ্যে মারাত্মক এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলেও তারা সরকারের সাহায্য নিতে ভয় পাচ্ছেন। সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করে চায়, স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কারও যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভাইরাস সম্পর্কিত ‘পরীক্ষা, চিকিৎসা বা প্রতিরোধমূলক সুযোগ–সুবিধা গ্রহণ’ বিবেচনায় আনবে না।
নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন পরিষেবাগুলো বলেছে, অভিবাসীরা যারা স্কুলে কাজ করতে বা স্কুলে পড়াশোনা করতে পারে না, তারাও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে নিজেকে সুরক্ষায় অবশ্যই জনসাধারণের সুবিধাগুলো ব্যবহার করতে পারে।
নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা কাজে নিয়োজিত অ্যাটর্নিরা বলছেন, ‘তাঁরা আতঙ্কিত অভিবাসীদের কলগুলোকে আলাদা করে বিবেচনা করবেন। বিশেষ করে যাঁরা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের স্ট্যাটাসের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।’