শৌচাগার তৈরিতে খরচ ২০০ কোটি টাকা, যাবে মহাকাশে

নাসায় একটি শৌচাগার বানাতে খরচ হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ, ২ কোটি ৩ লাখ মার্কিন ডলার।
 ছবি: নাসার সৌজন্যে

বছরের পর বছর ধরে মহাকাশে নভোচারীদের জন্য জুতসই শৌচাগার তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)। সেই চেষ্টায় সফলও হয়েছে সংস্থাটি। তবে একটি শৌচাগার বানাতে খরচ হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ, ২ কোটি ৩ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা)। এখন নতুন এই শৌচাগারের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হবে।

গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নাসা বলেছে, এই বিশেষ শৌচাগারের ভ্যাকুয়াম ব্যবস্থার নকশা করা হয়েছে বিশেষভাবে নারী নভোচারীদের ব্যবহার উপযোগী করে, যা আগের মডেলের শৌচাগারের চেয়ে আলাদা। যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালের যে চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তার সঙ্গে সংগতি রেখেই শৌচারগারটি তৈরি করা হয়েছে। ওই অভিযানে একজন নারী ও একজন পুরুষকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে।

গত বৃহস্পতিবার ভার্জিনিয়ার ওয়ালপস আইল্যান্ড থেকে একটি রকেটে করে শৌচাগারটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তের কারিগরি ত্রুটির কারণে তা ভেস্তে যায়। কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার শৌচাগারটি আবারও মহাকাশে পাঠানোর কথা ছিল।

টাইটানিয়াম ব্যবহার করে তৈরি নতুন শৌচাগারটিতে রয়েছে সর্বজনীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা। নাসা বলেছে, মহাকাশ অভিযানের সময় প্রাকৃতিক কাজ সারা খুবই জরুরি হলে এই শৌচাগার নভোচারীদের সাহায্য করবে। শূন্য মাধ্যাকর্ষণ পরিবেশে মনুষ্যবর্জ্যকে শোষণ করে নেওয়ার জন্য একটি ভ্যাকুয়াম ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে এই শৌচাগারে। শৌচাগারটি মহাকাশের ছোট কক্ষের ভেতরেই থাকবে, যেমনটি পৃথিবীতে থাকে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যুক্তরাষ্ট্রের অংশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থার উন্নত ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে শৌচাগারটি। এটির ওজন ৪৫ কেজি। লম্বা ৭১ সেন্টিমিটার। বর্তমানে মহাকাশ স্টেশনে যে শৌচাগার ব্যবহার করা হচ্ছে, তার চেয়ে ৬৫ শতাংশ ছোট ও ৪০ শতাংশ হালকা।