শেয়ারবাজারে ধসের কারণে কাড়ি কাড়ি ডলার হারালেন বিশ্বের অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী। তবে শেয়ারবাজার িধসে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ তালিকায় আছেন অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস, ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ, অ্যাপল, অ্যালফাবেটসহ বড় কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। হারানো অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৬ শ কোটি ডলার। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নামে। আর এর জন্যই পকেটের ডলার হারালেন জেফ বেজোস, জাকারবার্গ, টিম কুক ও ল্যারি পেজরা।
জেফ বেজোস হারান ১ হাজার ২ কোটি ডলার, অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ল্যারি পেজ হারান ২ শ ৩০ কোটি ডলার, জাকারবার্গ হারান ১ শ সাত কোটি ডলার, অ্যাপল ও নেটফ্লিক্সের প্রধান নির্বাহী টিম কুকের অবস্থা একটু ভালো। তিনি দুদিনে হারান ২০ কোটি ডলার।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কা ও চীনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য বিরোধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নামে। আর এর জন্য কাড়ি কাড়ি ডলার হারাতে হলো জেফ বেজোস, জাকারবার্গদের। তবে এতে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে জেফ বোজোসের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
গত বুধবার সবচেয়ে বেশি কমেছে নাসডাক কম্পোজিট শেয়ারের, ৪ শতাংশ। ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ ৮০০ পয়েন্টের বেশি কমেছে, যা গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে সূচকটির সবচেয়ে বড় পতনের রেকর্ড। শেয়ারের দরপতনে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্পদের মূল্যমান ৯ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের মতো কমেছে।
শেয়ারবাজার ধসে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এফএএএনজি নামে পরিচিত (ফেসবুক, অ্যাপল, অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স ও গুগল) সব কোম্পানির শেয়ারের মূল্য কমে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যামাজন। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম ৬ শতাংশ কমেছে, যা দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বাজার মূলধন হারিয়েছে। অ্যামাজনের শেয়ারের এ পতনের মাশুল গুনতে হয়েছে বেজোসকে। সামগ্রিক হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শেয়ার দরপতনের কারণে বেজোসের সম্পদের মূল্যমান কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫২০ কোটি ডলার, যা গত জুলাইয়ের পর থেকে সর্বনিম্ন। ওই মাসে বেজোস বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়ে ওঠেন। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় উল্লেখযোগ্য অপর ব্যক্তি হলেন জাকারবার্গ। তথ্যসূত্র: সিএনবিসি, বিজনেস ইনসাইডার ও টাইম।