নিউইয়র্ক বইমেলা

শহীদ কাদরী স্মৃতি পুরস্কার পেলেন জীবন চৌধুরী ও সেলিম জাহান

জীবন চৌধুরীর ‘গান আর গানের মানুষ’ সেরা বই হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

২৯তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় জীবন চৌধুরীর ‘গান আর গানের মানুষ’ এবং সেলিম জাহানের ‘স্বল্প কথার গল্প’ বই দুটি সেরা বই হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত অনাবাসী বাঙালি লেখকদের বইয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়েছে দুটি বই। ‘স্বল্প কথার গল্প’ বইটি প্রথমা প্রকাশন এবং ‘গান আর গানের মানুষ’ বইটি মূর্ধণ্য প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে।

এবার করোনাভাইরাসের কারণে নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা ভার্চ্যুয়াল বা অনলাইনে হয়েছে। মেলায় অন্যতম আকর্ষণ ছিল অভিবাসী লেখকদের রচিত সেরা গ্রন্থ পুরস্কার। কবি শহীদ কাদরী স্মৃতি গ্রন্থ পুরস্কার নামে অভিহিত এ পুরস্কার শুধু বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার বাইরে বসবাসরত লেখকদের বাংলা বইয়ের জন্য নির্ধারিত। এবারের মেলাতেই প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার দেওয়া হলো

সেলিম জাহানের ‘স্বল্প কথার গল্প’ বইটি সেরা বই হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

মুক্তধারার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচারকদের বিবেচনায় সমান নম্বর পাওয়ায় উভয় গ্রন্থই শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়েছে। সেরা বই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ৫০০ ডলার।

পুরস্কারের জন্য প্রাপ্ত ৫০টি বই থেকে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি বেছে নেওয়া হয়। বই পাঁচটি হলো জীবন চৌধুরীর ‘গান আর গানের মানুষ’, সেলিম জাহানের ‘স্বল্প কথার গল্প’, মুজিব ইরমের ‘পাঠ্যপুস্তক’ (চৈতন্য), ফকির ইলিয়াসের ‘নক্ষত্র বিক্রির রাতে’ (য়ারোয়া বুক কর্নার) এবং স্মৃতি ভদ্রের ‘অন্তর্গত নিষাদ ও পায়রা রঙের মেঘ’ (পেন্সিল)।

জীবন চৌধুরী।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য মুক্তধারা ফাউন্ডেশন দ্বারস্থ হয় বাংলা ভাষার অন্যতম সেরা তিনজন লেখকের কাছে। তাঁদের সিদ্ধান্তেই নির্বাচিত হয়েছে সেরা বই। মৌলিকত্ব, শৈল্পিক উৎকর্ষ, প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি আনুগত্যর ভিত্তিতে সেরা বই নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুক্তধারা চেয়েছে এমন একটি বই পুরস্কারের জন্য নির্বাচন হোক যার মাধ্যমে অভিবাসী বাঙালি জীবন ও অভিজ্ঞতার চিত্র ধরা পড়ে। বিচারকেরা সেই বিবেচনা মাথায় রেখেই শহীদ কাদরী স্মৃতি গ্রন্থ পুরস্কারের জন্য বই নির্বাচন করেছেন। মুক্তধারা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে যে এই পুরস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন কবি শহীদ কাদরীর নাম। বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান এই কবি তাঁর জীবনের দ্বিতীয়ার্ধ বিদেশের মাটিতে কাটিয়েছেন। এই নিউইয়র্কে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এই পুরস্কারে তাঁর নাম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য মুক্তধারা কবিপত্নী নীরা কাদরীর কাছে কৃতজ্ঞ।

সেলিম জাহান

করোনাভাইরাসের কারণে ১৮ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৯তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা ভার্চ্যুয়াল বা অনলাইনের মাধ্যমে হয়েছে। মেলাটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর স্মরণে মুক্তধারার শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে আয়োজিত হয়। পরবর্তী সময়ে লেখক-পাঠক ও প্রকাশকেদের অনুরোধে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫০ শতাংশ হ্রাসকৃত মূল্যে বই বিক্রির সময়সীমা বাড়ানো হয়।