ইকোসকের প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশি দূত

শরণার্থীসহ আশ্রয়দাতাদের টিকার সুযোগ দিতে হবে

ইকোসকের ২০২০ সালের মানবিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত সেগমেন্টের আওতায় ‘মানবিক প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলোর ক্রমবর্ধমান জটিলতা নিরসন’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেন, মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গৃহীত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে দায়ভার ও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার নীতি সন্নিবেশিত থাকতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে নিয়মিত মানবিক সহায়তার বরাদ্দকৃত তহবিল থেকে কোনো কর্তন না করে অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা তহবিল বরাদ্দ দিয়ে বৈশ্বিক মহামারির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই জরুরি মানবিক প্রয়োজন মেটাতে হবে।
৯ জুন আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, মানবতা ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলেন ধরেন।

ইকোসকের সহসভাপতি মরক্কো এই সভায় সভাপতিত্ব করে। জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ ও মানবিক বিষয়াবলি সমন্বয়কারী, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক ছিলেন আলোচনা পর্বটির সঞ্চালক। আলোচনা পর্ব শুরুর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস এতে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মতো পরিস্থিতি যেকোনো মানবিক সংকটকেই বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর তাই, শরণার্থীসহ এ ধরনের মানবিক পরিস্থিতিতে নিপতিত সবাইকে জাতিসংঘের মানবিক সাড়াদান সংক্রান্ত বৈশ্বিক পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

সভায় আরও অংশ নেন নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন মন্ত্রী মিজ্ সিগ্রিড ক্যাগ। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরও বলেন, মানবিক সহায়তা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবধানগুলো অবশ্যই দূর করতে হবে; আর অবশ্যই শরণার্থী ও অভিবাসীসহ তাদের আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের সবাইকে টিকাগ্রহণ ও চিকিৎসায় অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ওপর কোনোরকম বাড়তি বোঝা চাপানো যাবে না। মহামারি মোকাবিলার প্রস্তুতি, সাড়াদান ও পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত মানবিক কর্মসূচিসমূহে মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গোলো অন্তর্ভুক্ত রাখার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। বিজ্ঞপ্তি