আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ফল সেমিস্টার থেকে যদি কোনো শিক্ষার্থী তাঁর সব কোর্স অনলাইনে করার পরিকল্পনা করে, তবে তাঁকে দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ ভিসা পাবেন না তিনি।
চলতি মাসের শুরু দিকে প্রায় একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন। ওই সময় বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে যাঁদের ফল সেমিস্টারের ক্লাস অনলাইনে শুরু হয়েছে, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ তাঁদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার ভিসাও দেওয়া হবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। এমন ঘটনার কয়েক সপ্তাহের মাথায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট গত শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়েছে। এ–সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এরপর অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হওয়ার কথাও চিন্তা করছে। ফলে যাঁরা নতুন করে এই অনলাইন কোর্সে ভর্তি হয়ে দেশটিতে যাওয়ার কথা ভাবছেন, মার্কিন সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন তাঁরা। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং সব ক্লাস অনলাইনে করছেন কিংবা সেখানে যাওয়ার জন্য যাঁদের ভিসা রয়েছে, তাঁরা এই আদেশের আওতায় আসবেন না। ট্রাম্প এর আগে অভিবাসনব্যবস্থা কঠোর করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।