যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের পৌর ভবনে এক বন্দুকধারী পৌরকর্মীর হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত কয়েকজন। হতাহত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই সন্দেহভাজন হামলাকারীর সহকর্মী। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভার্জিনিয়া বিচ শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ভার্জিনিয়া বিচের পুলিশপ্রধান জেমস চারভেরা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিকেল চারটার দিকে বন্দুকধারী পৌর ভবনের ভেতরে ঢুকে নির্বিচারে গুলি করতে শুরু করেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী একজন পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশ সদস্যও পাল্টা গুলি ছোড়েন। ওই সময় হামলাকারী নিহত হন।
আহত ছয়জনের মধ্যে ওই পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। বুলেটরোধী ভেস্টের কারণে তিনি বেঁচে যান।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেও কর্মস্থলে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। ইলিনয়ের আরোরায় একটি কারখানার কর্মী চাকরিচ্যুত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সহকর্মীদের গুলি করেন। এতে পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে।
গতকালের হামলার ব্যাপারে ভার্জিনিয়া বিচের পুলিশপ্রধান চারভেরা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ফরেনসিক টেকনিশিয়ানরা স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঘটনাটি তদন্ত করছেন। তিনি হামলাকারীকে ‘হতাশাগ্রস্ত’ বলে উল্লেখ করলেও বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন উত্তরের চেয়ে প্রশ্নই বেশি আছে।’
সিটি হলের পাশে অবস্থিত পৌরকেন্দ্র কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে শহরের গণপূর্ত এবং পানি–বিদ্যুতের মতো নাগরিক সেবা দেওয়া হয়। শহরের জনপ্রিয় সৈকত থেকে কমপ্লেক্সটি কয়েক মাইল দূরে আটলান্টিক উপকূলে চেসেপিক বের মুখে অবস্থিত। এলাকাটি ভার্জিনিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর। সাড়ে চার লাখের মতো মানুষের বসবাস রয়েছে সেখানে।
পুলিশপ্রধানের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শহরের মেয়র ববি ডায়ের হামলার ঘটনাকে ভার্জিনিয়া বিচের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ হামলার নিহত ব্যক্তিরা আমাদেরই বন্ধু, সহকর্মী, প্রতিবেশী।’
হামলার খবর পেয়ে শহরে উপস্থিত হন ভার্জিনিয়া গভর্নর রালফ নরথাম। তিনি এটাকে ভয়াবহ দিন বলে উল্লেখ করেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানানো হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি নজরে রাখছেন।