যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে হামলাকারীরা যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির গণতন্ত্রের গলায় ছুরি ধরেছিল। ওই হামলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। বাইডেনের ভাষণ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
গত বছরের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে যৌথ অধিবেশন চলাকালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা সেখানে নজিরবিহীন হামলা চালান। ওই সময় পার্লামেন্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল অনুমোদনে যৌথ অধিবেশন চলছিল। ট্রাম্পের সমর্থকেরা ওই অধিবেশন আটকে দিতেই এই হামলা চালান। ওই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যসহ অন্তত সাতজন নিহত হন। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৭২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্যাপিটল ভবনের স্ট্যাচুয়ারি হলে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘যারা ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল এবং যারা এই ঘটনাকে উসকে দিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের গলায় চুরি ধরেছিল।’ ওই হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে তাঁর পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করে বাইডেন আরও বলেন, ‘তারা (হামলাকারীরা) সহিংসতা এবং একজনের পক্ষে কাজ করার জন্য এসেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে একের পর এক মিথ্যার জাল ছড়ানোর মাধ্যমে ওই হামলার ইন্ধন জোগান। আমাদের গণতন্ত্র বা সংবিধানের চেয়ে তাঁর বাজে অহংকার তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন জয়ী হলেও সেই ফল এখনো মেনে নেননি ট্রাম্প। তিনি ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনেন। যদিও তদন্ত কর্মকর্তারা ট্রাম্পের ওই অভিযোগের সত্যতা পাননি। এমনকি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানেও যোগ দেননি ট্রাম্প, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
পার্লামেন্টের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সভাপতিত্বে ক্যাপিটলে হামলার বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় হামলার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে কিছু সময়ের জন্য নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয়ে দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির কিছু শীর্ষ নেতা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।