আগামী মে মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ ও ৯-এর উড্ডয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (এফএএ) এই তথ্য জানিয়েছে বলে আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
ছয় মাসের মধ্যে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮-এর দুটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর বিধ্বস্ত হওয়া এবং উড়োজাহাজের সবাই নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উড়োজাহাজের এই মডেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে সংকটের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এর মধ্যে এফএএ গতকাল বৃহস্পতিবার জানায়, সাময়িকভাবে এই মডেলের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন বন্ধ রাখা হবে। পরে আগামী মে মাস পর্যন্ত বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এফএএ বলেছে, সফটওয়্যার আপডেট পরীক্ষা ও নতুন করে প্রতিস্থাপন না করা পর্যন্ত এই মডেল আর উড়বে না।
গত রোববার ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স সিরিজের একটি বিমান উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর বিধ্বস্ত হয়। এতে যাত্রী এবং ক্রুসহ ১৫৭ জন নিহত হন। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবরে লায়ন এয়ারের একই মডেলের একটি উড়োজাহাজ ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৮৯ আরোহী নিহত হন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুটি দুর্ঘটনার ধরনই প্রায় এক রকম। উপগ্রহ তথ্য বিচার করে এমনটা বলছেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রিক লারসেন বলেছেন, সফটওয়্যার আপডেট হতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। আর এটি ইনস্টল করতে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে চলে যাবে। লায়ন এয়ার বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করছে বোয়িং। সব মিলিয়ে আরও দেড় মাস সময় লাগবে কাজ শেষ করতে।
গতকাল ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা ওই ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। ব্ল্যাকবক্স এখন ফ্রান্সের তদন্তকারীদের হাতে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তারা বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ প্রকাশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই ব্ল্যাকবক্স থেকেই জানা যাবে কী কারণে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এটা পাইলটের ভুলে, না কারিগরি কোনো কারণ, নাকি দুইয়ে মিলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা-ও জানা যাবে ব্ল্যাকবক্সের তথ্য থেকে। উড়োজাহাজে ব্ল্যাকবক্সে ফ্লাইটের ডেটা এবং ককপিটের সঙ্গে কথোপকথনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে।