প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন পরিবার নিয়ে হোয়াইট হাউসে উঠেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে এসেছিল এক ‘মেজরও’। সেও প্রেসিডেন্ট পরিবারের সদস্য। কিন্তু হোয়াইট হাউসে ঢুকেই কেমন যেন মাথা বিগড়ে গেছে তার। হয়ে ওঠে খ্যাপাটে, তেড়ে যায় যারতার দিকে। বাধ্য হয়েছে তাকে হোয়াইট হাউসছাড়া করেছেন প্রেসিডেন্ট।
এই ‘মেজর’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের পোষা কুকুর। জাতে জার্মান শেফার্ড। এই জাতের আরও একটি কুকুর আছে তাঁদের। সেটির নাম ‘চ্যাম্প’। হোয়াইট হাউসে ঢোকার পর মেজরই আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করে। পরে দুটি কুকুরকেই ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যে বাইডেনের পারিবারিক বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুটি সূত্র সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছে।
‘মেজরের’ বয়স ৩ বছর। এই কুকরটি বেশ দুরন্ত। আক্রমণাত্মকও। ২০১৮ সালে ডেলাওয়ারের একটি প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মেজরকে পোষার জন্য নিয়ে আসেন বাইডেন। আর ‘চ্যাম্পের’ বয়স ১৩ বছর। বয়স বাড়ার কারণে এই কুকরটি শারীরিকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে।
বাইডেন গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে হোয়াইট হাউসে ওঠেন। তাঁর শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ‘চ্যাম্প’ ও ‘মেজরকেও’ হোয়াইট হাউসে আনা হয়।
সূত্র জানায়, হোয়াইট হাউসে ‘মেজর’ আক্রমণাত্মক আচরণ করছিল। হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা দলের এক সদস্যকে সে কামড় পর্যন্ত দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ‘মেজর’ ও ‘চ্যাম্প’ দুটি কুকুরকেই ডেলাওয়ারের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।
হোয়াইট হাউসে যে ব্যক্তিকে ‘মেজর’ কামড় দিয়েছে, তাঁর অবস্থা জানা যায়নি। তবে ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুতর ছিল। সে কারণেই কুকুর দুটিকে হোয়াইট হাউস থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াইট হাউস থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসে দুই পোষ্য কুকুর নিয়ে ঝুটঝামেলায় থাকার কথা গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন জিল বাইডেন।
কুকুর দুটির দিনসূচি সম্পর্কে অবগত এক ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন, ‘চ্যাম্প’ ও ‘মেজর’ এখন ডেলাওয়ারে আছে। তবে তাঁর ভাষ্য, ফার্স্ট লেডি বাইরে থাকলে কুকুর দুটিকে ডেলাওয়ারে তত্ত্বাবধায়কের কাছে রাখা হয়।