মিয়ামির ধসে যাওয়া সেই ভবনের কাঠামোগত ত্রুটি ছিল

ফাইল ছবি : এএফপি
ফাইল ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইডের ধসে ভবনের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রকৌশলীরা। এই ভবনের মূল নকশায় ত্রুটি ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশলীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ত্রুটির কারণে ভবনের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। খবর এএফপির।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে ওই ভবনের অবকাঠামো সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এতে বলা হয়, ভবনের পার্কিংয়ে ফাটল রয়েছে। এ ছাড়া ভবনের পুলের নিচের স্ল্যাবেও ত্রুটি রয়েছে। আর ভবনের ছাদ সংস্কারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সম্প্রতি।

এই ত্রুটি নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস। এ ছাড়া সার্ফসাইড শহরের ওয়েব সাইটেও এই সমীক্ষা প্রতিবেদনের বেশ কিছু নথি প্রকাশ করা হয়। সিএনএনের খবরে দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ভবনের দুটি ইউনিটের বেলকনির স্ল্যাবে ফাটল ধরেছে।

এদিকে সার্ফসাইডের ওই ভবন ধসের পর এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধসে যাওয়া ওই ভবনের ১৫৯ জন বাসিন্দা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

আটকে পড়া এই ব্যক্তিদের অবস্থা এখনো জানা যায়নি। তাদের খবর পেতে অপেক্ষায় রয়েছে অনেক পরিবার। ধসের এরপর থেকেই সেখানে উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষের বেঁচে থাকার স্পন্দন টের পাচ্ছেন তাঁরা।

গত বৃহস্পতিবার ওই ভবনের একটি অংশ ধসে গেলেও আরেক অংশে বাসিন্দারা এখনো রয়ে গেছেন। ঝুঁকি থাকায় সেই অংশের ফ্ল্যাটগুলো থেকেও বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, পুলিশ বলেছে, ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ধসের সময় ঠিক কতজন ভবনে উপস্থিত ছিল, তা পরিষ্কার নয়। কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই ভবনের কিছু অংশ সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এই ভবনের পাশেই আরেকটি ভবন সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে ভবনটি ধসে গেছে, তা এখনো জানা যায়নি।