মিয়ামির ভবনটি ধসে পড়ার পর এর বাকি অংশ বিস্ফোরকের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
মিয়ামির ভবনটি ধসে পড়ার পর এর বাকি অংশ বিস্ফোরকের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

মিয়ামিতে ভবনধসে নিহত বেড়ে ৩২, এখনো নিখোঁজ ১১৩

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইড এলাকায় ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। ভবনটি ধসের পর এর বাকি অংশ বিস্ফোরকের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এরপর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সর্বশেষ চারজনের মরদেহ। এদিকে দুর্ঘটনার ১২ দিন পর এখনো নিখোঁজ ১১৩ জন।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় ধ্বংসস্তূপ থেকে। এর মধ্য দিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২। এর আগে গত রোববার রাতে বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভবনের বাকি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। মৌসুমি ঝড়ের আঘাতে ধসে পড়তে পারে, এমন ঝুঁকি থেকে ভবনের বাকি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ জুন ১২ তলা ওই ভবন ধসে যায়। ওই সময় ভবনটির বাসিন্দাদের বেশির ভাগ ঘুমাচ্ছিলেন। ধসে যাওয়া ওই ভবনের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রকৌশলীরা। ভবনটির মূল নকশায় ত্রুটি ছিল। ভবনের পার্কিংয়ে ফাটল রয়েছে। এ ছাড়া ভবনের পুলের নিচের স্ল্যাবেও ত্রুটি রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশলীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ত্রুটির কারণে ভবনের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৮০ সালে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। প্রথমে এর অর্ধেক ইউনিট ধসে যায়। এরপর রোববার রাতে বাকি ইউনিটগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।