২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের যে প্রতিশ্রুতি দেশটির জান্তা দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকার উৎখাতের ছয় মাসের মাথায় মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। তিনি গত রোববার এক টেলিভিশন ভাষণে আগামী দুই বছরের মধ্যে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন তিনি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে সেনাশাসনের সময় আরও দুই বছর বাড়িয়ে নিয়েছে জান্তা।
মিয়ানমার জান্তার এমন প্রতিশ্রুতি গতকাল সোমবার প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচন আয়োজনে দুই বছর সময় নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সময়ক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি করুক, এমনটাই চায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এটা স্পষ্ট যে মিয়ানমার জান্তা সময়ক্ষেপণ করছে। নিজেদের সুবিধার্থে তারা সময় দীর্ঘায়িত করতে চায়। তাই যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ব্যাপারে আসিয়ানের পদক্ষেপ চায়।
এদিকে মিয়ানমারের সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে থামাতে বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছে আসিয়ান। এই নিয়োগের অনুমোদন দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জোটের সদস্য ইন্দোনেশিয়া।
গত ১ ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। সু চি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। প্রথমে তারা এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। এখন তা বাড়িয়ে দুই বছর করা হলো। মিয়ানমারে জান্তা শাসনবিরোধী বিক্ষোভে ৯ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আটক–গ্রেপ্তার হাজারো। সু চিসহ দেশটির অনেক রাজনৈতিক নেতা জান্তার হাতে বন্দী রয়েছেন।