মামলার কবলে পড়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। পিছিয়েছে মামলার শুনানির তারিখ। নতুন তারিখ পড়েছে আগামী ২৭ নভেম্বর। গত ৩০ অক্টোবর আদালত মামলার শুনানির নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের দুজন সদস্য প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন করে আদালতে মামলা করা হয়। একই সঙ্গে নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ অক্টোবর আদালত সোসাইটির নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ দিলে পরদিন ১৯ অক্টোবর তা চ্যালেঞ্জ করে আপিল করা হয়। গত ৩০ অক্টোবর মামলার শুনানির তারিখ ছিল। কিন্তু আদালত পিছিয়ে শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
গত ৩০ অক্টোবর বাদী-বিবাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার। এদিন উভয় পক্ষের জবাব আদালত পর্যবেক্ষণ করবেন ও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ সোসাইটির দ্বিবার্ষিক (২০১৯-২০২০) নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। নির্বাচনে দুটি প্যানেলসহ কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এ জন্য নিউইয়র্কের পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থাসহ নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতিও নিয়েছিল।
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন বিষয়ে প্রথম আদালতের শরণাপন্ন হন সংগঠনের সাবেক কর্মকর্তা ওসমান চৌধুরী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেন (ইনডেক্স নম্বর ৭৮৫০/২০১৮)। ওসমান চৌধুরীর মামলা নিষ্পত্তি হতে না হতেই বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান এস এম জামাল ইউ আহমেদ এবং সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদকে বিবাদী করে গত ১৮ অক্টোবর কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন (ইনডেক্স নম্বর ৭৮০৭ / ২০১৮) আলী আকবর, জিআর চৌধুরী ও শফিকুল ইসলাম নামের তিন সদস্য। এদের মধ্যে দুজন ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের সদস্য প্রার্থী ছিলেন, ত্রুটির কারণে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল।
সোসাইটির নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ইতিমধ্যেই সোসাইটির তহবিল থেকে ৬০ হাজার ডলারের মতো ব্যয় হয়ে বলে সংগঠনের সভাপতি কামাল আহমেদ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল ইউ আহমেদ জনি জানান।