যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ও বিশ্বের মধ্যে অষ্টম বৃহত্তম সৌর প্রকল্প তৈরির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সরকার। ২০২২ সালের মধ্যে নেভাদায় মরুভূমিতে এ সৌর প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে এখান থেকে ৬৯০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
গুড নিউজ নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টেরিয়র (ডিওআই) এবং ব্যুরো অব ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিএলএম) লাস ভেগাসের ৩০ মাইল উত্তর-পূর্বে নেভাদায় সৌর প্রকল্প স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব ডেভিড এল বার্নহার্ড সোলার পার্টনার্স ইলেভেন এলএলসির জন্য রেকর্ড অব ডিশিসনে স্বাক্ষর করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি ১০০ কোটি ডলারে জেমিনি সোলার প্রজেক্ট নামের ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ লাস ভেগাস ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলের ২ লাখ ৬০ হাজার বাড়িতে ব্যবহৃত হবে।
এ প্রকল্পে গড়ে দৈনিক ৫০০ থেকে ৭০০ নির্মাণকর্মী কাজ করবেন। এতে স্থানীয়ভাবে ১১০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং নির্মাণের সময় ৭১ কোটি ২৫ লাখ ডলার পারিশ্রমিক হিসেবে অর্থনীতিতে যুক্ত হবে।
পুরো প্রকল্পটি দুটি ধাপে সম্পন্ন হবে। ২০২১ সালে প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর ২০২২ সালে সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ শেষ হবে। এখান থেকে বার্ষিক ৩০ লাখ ডলার রাজস্ব যুক্ত হবে মার্কিন কোষাগারে।
এ ছাড়া প্রকল্প থেকে উৎপাদিত নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ বার্ষিক গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাবে প্রায় ৮৩ হাজার গাড়ির সমান।
সোলার এনার্জি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী অ্যাবিগাইল রস হপার বলেন, ‘করোনাভাইরাস চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমরা দেখে খুশি হয়েছি যে শিগগিরই নেভাদা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সৌর প্রকল্পের আবাসস্থল হবে। এ প্রকল্প রাজ্যের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজনের সময় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ডেকে আনবে।’
প্রায় ৭ হাজার ১০০ একর জমিজুড়ে নির্মিত এ সৌর প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কাজ করবে অস্ট্রেলিয়ার কুইনব্রুক ইনফ্রাস্ট্রাকচার পার্টনার এবং ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক আরেভিয়া পাওয়ার।
কুইনব্রুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা সহযোগী ডেভিড স্কয়েস ব্রুক বলেছেন, জেমিনি প্রকল্প আধুনিক কারিগরি অগ্রগতির বিষয়টি প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে, যেখানে কম খরচে দীর্ঘমেয়াদে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব।