প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঁচ সন্তান। তৃতীয় স্ত্রী ও বর্তমান ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের একমাত্র সন্তান ব্যারন ট্রাম্প। মজার তথ্য হলো, এই ব্যারন নামটি কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগে ১৯৮০-এর দশকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের ছদ্মনাম হিসেবে যে নাগুলো ব্যবহার করতেন, তার একটি ছিল ব্যারন।
ট্রাম্পপুত্র ব্যারন আরেকটি কারণে আলোচনায় উঠে এসেছে। ১৯৬০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির সন্তান জে এফ কে জুনিয়রের পর ব্যারনই প্রথম জুনিয়র হিসেবে হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হয়েছে। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের সময় ব্যারন ও মেলানিয়া ট্রাম্প প্রায় পাঁচ মাস ট্রাম্প টাওয়ারে ছিলেন। তাঁরা দুজনই হোয়াইট হাউসে আসেন ২০১৭ সালের ১১ জুন। হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ বাসিন্দা হিসেবে ১৩ বছর বয়সী ব্যারন ট্রাম্পের নানা বিষয় এখন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে। সঙ্গে উঠে আসছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অজানা অধ্যায়ের নানা তথ্য।
যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, তিনি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের হয়ে দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্যে জন ব্যারন ও জন মিলারসহ বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। রহস্য উদ্ঘাটন করতে নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টে মিলার ও ব্যারন ছদ্মনাম সম্পর্কে একটি করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্যমতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ‘জন ব্যারন’ ছদ্মনামটি ব্যবহার করেন। ২০০৪ সালে ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ রিয়্যালিটি শোয়ের সাফল্যের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবনীর ওপর একটি সংক্ষিপ্ত নাটক তৈরির চেষ্টা করা হয়। যখন চিত্রনাট্যকার গে ওয়ালচে তাঁর বিষয়টিকে ট্রায়াল দেন, তখন ট্রাম্পের একমাত্র নোট ছিল, নায়কের শেষ নাম পরিবর্তন করে ব্যারন রাখা হোক। এর এক বছর পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প মেলানিয়া কানুসকে বিয়ে করেন এবং তারও এক বছর পর তাঁদের ঘরে আসে একটি ছেলে সন্তান; নাম রাখা হয় ব্যারন ট্রাম্প।