নিউইয়র্কের মেরি কোনার নামের এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মার্কিন সংগীত তারকা বিয়ন্সের ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে বৈষম্যের মামলা করেছেন।
পার্কউড এন্টারটেইনমেন্ট নামের কোম্পানি বিয়ন্সের ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করে থাকে।
মেরি তাঁর মামলায় বলেছেন, বিয়ন্সের ওয়েবসাইটে আমেরিকার ডিজঅ্যাবিলিটি আইনের লঙ্ঘন হয়েছে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের নেভিগেটের জন্য ওই ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় মেরি বলেছেন, তাঁর অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
প্রতিকার হিসেবে ওয়েবসাইটের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞাসহ অধিকার লঙ্ঘনের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন মেরি।
মামলায় আইনজীবীর অর্থও বিবাদীর কাছ থেকে আদায় করে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
৩ জানুয়ারি নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট জজ আদালতে দায়ের করা মামলায় ২৭ পৃষ্ঠার আরজিতে মেরি নিজের জন্য ক্ষতিপূরণসহ আমেরিকার অন্য ক্ষুব্ধ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্যও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, আমেরিকায় প্রায় ৮১ লাখ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখ একবারেই অন্ধ। আমেরিকান ফাউন্ডেশন ফর দ্য ব্লাইন্ডসের তথ্য অনুযায়ী, শুধু নিউইয়র্ক স্টেটেই চার লাখ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর বসবাস।
আমেরিকার ফেডারেল আইন এবং অঙ্গরাজ্যের আইনে যেকোনো ধরনের প্রতিবন্ধীদের প্রতি বৈষম্য না করার জন্য সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। মেরি এই আইনের আওতায় প্রতিকার দাবি করেছেন। মামলার আবেদনে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।
তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে একে একটি নতুন ধরনের মামলা বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিয়ন্সের ওয়েবসাইট ব্যবহারের জন্য শুধু কম্পিউটারের কিবোর্ড ব্যবহার করলেই হয় না, পূর্ণ ব্যবহারের জন্য মাউস ব্যবহার করতে হয়।
ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটার জন্য বা গান শোনার জন্য মেরিকে বেগ পেতে হচ্ছিল। এ কারণে তিনি নিজে বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মামলার আবেদনে বলা হয়েছে।
নিজেকে একেবারেই অন্ধ দাবি করে মেরি বলেছেন, একমাত্র সংগীতই তাঁর বিনোদনের মাধ্যম। বিয়ন্সের ওয়েবসাইট থেকে বিনোদন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তিনি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
আদালতে মামলা মোকাবিলার আগে বিয়ন্স বা পার্কউড এন্টারটেইনমেন্টের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।