যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ করে নিউইয়র্ক ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপিত বিশিষ্টজনদের ভাস্কর্য অপসারণে ‘ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ’ ঠেকাতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিশেষ এজেন্টদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস ৪ জুলাইকে কেন্দ্র করে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিশিষ্টজনদের ভাস্কর্য রক্ষায় র্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট টিম ও প্রটেকটিং আমেরিকান কমিউনিটি টাস্ক ফোর্সসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দাঙ্গা প্রতিহত করার বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে পোর্টল্যান্ড, সিয়াটল ও ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এই বিশেষ দলকে বিভিন্ন আঞ্চলিক শহরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো দাঙ্গা কবলিত এলাকায় দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তাদের প্রস্তুত করা হয়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। বর্ণবাদী আচরণের ইতিহাস রয়েছে এমন বিশিষ্টজনদের ভাস্কর্য অপসারণের দাবি ওঠে। এই আন্দোলন কোনো কোনো ক্ষেত্রে সহিংসতায় রূপ নেয়। আন্দোলনের শুরু থেকেই এই পরিস্থিতির জন্য বর্তমান প্রশাসনের দিকে আঙুল তোলা হয়। ফলে আন্দোলন নিয়ে শুরু থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন ছিল সমালোচনামুখর। বলপ্রয়োগ করে, এমনকি সেনা মোতায়েন করে আন্দোলন দমনের কথাও বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট, যা খোদ সেনাবাহিনী থেকেই খারিজ করা হয়। এ অবস্থায় ‘ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড’ রোধে ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে আগ্রাসী অবস্থান বলে উল্লেখ করছেন অনেকে।
আন্দোলনকারীদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো কনফেডারেট সামরিক প্রধান ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য। বিশেষ করে দাসত্ব মোচন দলিলে স্বাক্ষরকারী প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ও স্বাধীনতা ঘোষণাকারী থমাস জেফারসনের আবক্ষ ভাস্কর্য তাদের মূল লক্ষ্য। এ অবস্থায় এই নেতাদের ভাস্কর্য রক্ষায় গত ২৬ জুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘জনগণের সম্পদে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মৃতিসৌধ রক্ষায়’ এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। এরই মধ্যে এই আদেশের ফল ফলতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে প্রটেকটিং আমেরিকান কমিউনিটি টাস্ক ফোর্স ১০০ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ তারা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেছেন।