বিতর্ক হবে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে।
বিতর্ক শুরু হবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টায়)।
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল সাতটা) বিতর্কের মঞ্চে মুখোমুখি হচ্ছেন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এটাই সম্ভবত ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম এবং শেষ টেলিভিশন বিতর্ক। উভয়ের দৃষ্টি এখন সামনের নির্বাচনের দিকে।
নির্বাচনের আগে ফিলাডেলফিয়ায় এবিসি নিউজের এই বিতর্ককে এখন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য রাজনীতির চিত্র পরিবর্তনের মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। দুই প্রার্থীর এখন মনোযোগ প্রচারণা ও ভোটারের দৃষ্টি টানার দিকে। বেশ কিছুদিন ধরেই কমলা ও ট্রাম্পের এ বিতর্ক ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি দুই মাসের কম সময়। হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে এখন সামান্য ভুল দুই প্রার্থীর ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তাই কমলা বা ট্রাম্পের পক্ষে কেউই বড় বাজি লাগাতে চাইবেন না। কারণ, বিভিন্ন জরিপে ইতিমধ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
* বিতর্ক ঘিরে কমলা বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন ট্রাম্প সেজে তাঁর সঙ্গে মহড়াও দেন। * এই বিতর্ক কমলা ও ট্রাম্পের জন্য ভোটারের কাছে পৌঁছানোর গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। * হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে এখন সামান্য ভুল দুই প্রার্থীর ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
গত জুলাই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আকস্মিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে গেলে কমলা হ্যারিস সামনে আসেন। এরপর থেকে দ্রুত জনসমর্থন বেড়েছে ৫৯ বছর বয়সী কমলার। কিন্তু অনেক ভোটার আছেন, যাঁরা এখনো তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না। মঙ্গলবারের এই বিতর্ক তাই কমলা ও ট্রাম্পের জন্য ভোটারের কাছে পৌঁছানোর গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। বিতর্কের আগমুহূর্তে সর্বশেষ জরিপেও দেখা যায় দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, কমলা এখন তাঁর রানিং মেট টিম ওয়ালজকে নিয়ে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় জোর প্রচার শুরু করবেন।
অন্যদিকে ট্রাম্প এখন অর্থনীতি ও অভিবাসনের মতো বিষয়গুলোয় নজর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে কমলাকে তিনি আগের মতোই বর্ণবিদ্বেষী বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করে যাবেন।
মার্কিন সিনেট নেতা চাক শুমারের সাবেক প্রেস সচিব অ্যান্ড্রু কোনেচুস্কি বিতর্কের আগমুহূর্তে বলেছেন, ‘এ বিতর্ক ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছে।’ এখন দেখার বিষয় জনমত কোন দিকে গড়ায়।
*বিতর্ক হবে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে। * বিতর্ক শুরু হবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টায়)। * বিতর্ক সরাসরি দেখা যাবে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ–এ। বিবিসি, সিএনএন, চ্যানেল ফোরও সরাসরি সম্প্রচার করবে।
বিতর্ক নিয়ে কমলা হ্যারিস বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন। এমনকি বিতর্কের প্রস্তুতির সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন ট্রাম্প সেজে তাঁর সঙ্গে মহড়াও দিয়েছেন। ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাম্পের এটি সপ্তম প্রেসিডেন্ট বিতর্ক। এর আগে তিনি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক থেকেছেন।
গত সোমবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে কমলা বলেন, ট্রাম্প কতটা নিচে নামবেন, তার জন্য সুযোগ রাখা হবে না।
ট্রাম্পের মুখপাত্র জ্যাসন মিলার বলেন, ‘আপনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতে পারবেন না। ধারণা করুন, একজন বক্সার মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’