জর্জ করেনজো কাজ করতেন কুইন্সের স্থানীয় দুটি কার ওয়াশের দোকানে। গত ২০ জুন মধ্যরাতে জ্যামাইকা অ্যাভিনিউতে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর মাথায় ছিল গুরুতর আঘাত। পরদিন ২১ জুন স্থানীয় একটি হাসপাতালে মারা যান ৭৬ বছর বয়সী জর্জ। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, তিনি কোনোভাবে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান এবং সেই আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও জর্জের পরিবার থেকে একে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করা হয়। কিন্তু পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত করতে রাজি হয়নি। এ অবস্থায় অবশেষে জর্জ করেনজোর মেয়ে জেনিফার স্পানল নিজেই তাঁর বাবা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে প্রমাণ জোগাড় করেছেন।
জেনিফার স্পানল জানান তাঁর বাবা প্রতিদিন স্থানীয় দুটি কার ওয়াশ শপে কাজ করতেন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। গত ২০ জুনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু ওই মধ্যরাতে তাঁকে জ্যামাইকা অ্যাভিনিউতে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরদিন স্থানীয় হাসপাতালে তিনি মারা যান। জেনিফারের ভাই তাঁকে জানিয়েছিল যে, এলাকায় পরিচিতজনেরা বলছেন জর্জ করেনজোকে খুন করা হয়েছে। জেনিফার তখন স্থানীয় ১০৩ প্রিসিঙ্কটে যোগাযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করে।
জেনিফার জানান, প্রিসিঙ্কটের এক লেফটেন্যান্ট পুলিশ রিপোর্ট দিতে অস্বীকার করে তাঁকে পরামর্শ দেন যেন তিনি নিজে এলাকায় গিয়ে তাঁর বাবার হত্যার প্রমাণ জোগাড় করেন। জেনিফার তাই করেন। বাবার মৃত্যুর রহস্য খুঁজতে জেনিফার এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালান। এই প্রচারের ফলে দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সন্ধান মেলে, যারা হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজসহ এগিয়ে আসেন। সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
জেনিফার স্পানল বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারি না কেন এমন একজন নিরীহ ও সন্তান বৎসল বাবাকে হত্যা করা হলো।’ জেনিফারের অনুসন্ধানে মৃত্যুর রহস্য বেরিয়ে আসার পর বিষয়টি নিয়ে এখন তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। খুনিকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে তারা।