নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিওর চোখ এখন হোয়াইট হাউসের দিকে। সামনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই আলোচনাটি অবশ্য এমনি এমনি সামনে আসেনি। ডি ব্লাজিও খুব শিগগিরই নিউ হ্যাম্পশায়ার সফরে যাবেন বলে খবর বেরিয়েছে। আর এই সফর নিয়েই তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার সম্ভাব্যতার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
ডি ব্লাজিওর যোগাযোগ পরিচালক মাইকেল কাসকা ১২ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই নিউ হ্যাম্পশায়ার সফরে যাবেন মেয়র। তাঁর ভাবনায় ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রয়েছে। ম্যাসাচুসেটসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি এক আলোচনায় অংশ নেবেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি যাবেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের নাশুয়ায়। সেখানে তিনি নাশুয়ার মেয়র জিম ডনচেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বার্নি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী প্রচার দলের অভিজ্ঞ এক সদস্যের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। পরে তিনি ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য কিছু ছোট সভায়ও অংশ নেবেন। পরে তিনি যাবেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের রাজধানী কনকর্ডে। সেখানে তিনি রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি এনএইচ নামের একটি সংগঠন আয়োজিত সভায় যোগ দেবেন। এই সংগঠন ন্যূনতম মজুরি, পারিবারিক ছুটি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে।
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ডি ব্লাজিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি নিয়ে বেশ গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলে তাঁকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে লড়তে হবে নিজ দলের অগণিত প্রার্থীর সঙ্গে। অগণিত বলা হচ্ছে, কারণ ডেমোক্রেটিক দল থেকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন এমন রাজনীতিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে তাঁকে লড়তে হতে পারে নিউইয়র্কের ক্রিস্টিন গিলিব্র্যান্ড, নিউজার্সির সিনেটর কোরি বুকার ও নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গের সঙ্গে। এরই মধ্যে ডেমোক্রেটিক সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, কমলা হ্যারিস ও অ্যামি ক্লোবুচার নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।